১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজ ভাণ্ডার, তালেবানের নতুন কূটনৈতিক হাতিয়ার

تبصرے · 47 مناظر

আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফেরার পর দেশটির বিপুল খনিজ সম্পদকে নতুনভাবে কাজে লাগাতে শুরু করেছে তালেবান সরকার। এবা??

আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফেরার পর দেশটির বিপুল খনিজ সম্পদকে নতুনভাবে কাজে লাগাতে শুরু করেছে তালেবান সরকার। এবার এই সম্পদ কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপায় নয়, বরং আন্তর্জাতিক মঞ্চে কূটনৈতিক তৎপরতার এক শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, আফগানিস্তানে থাকা খনিজ সম্পদের মোট মূল্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটির ৩৪টি প্রদেশজুড়ে চিহ্নিত হয়েছে অন্তত ১ হাজার ৪০০ খনিজ মজুদ। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ২ বিলিয়ন মেট্রিক টন লৌহ আকরিক। লোগার প্রদেশেই মজুদ আছে ১ কোটি ২০ লাখ টন তামা, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও আছে লিথিয়াম ও ৪৭টি সম্ভাব্য তেলক্ষেত্র।

এই সম্পদ কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তান ইতোমধ্যে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ এবং ৭ বিলিয়নের বেশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে দেড় লাখেরও বেশি মানুষের জন্য।

চীন, রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও ভারত— এই অঞ্চলের শক্তিশালী দেশগুলো আফগান খনিজ সম্পদের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে ২৫ বছরের তেল উত্তোলন চুক্তিতে এগিয়ে আছে চীন। পাশাপাশি রয়েছে তামার খনি উন্নয়ন প্রকল্প। ভারতের সঙ্গে চলছে তামা, লোহা ও ইউরেনিয়ামের উত্তোলন কার্যক্রম। রাশিয়া দিচ্ছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সহায়তা, আর ইরান কাজ করছে বাণিজ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে।

সবদিক মিলিয়ে, তালেবান প্রশাসন খনিজ সম্পদকে শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উৎস হিসেবেই দেখছে না, বরং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের একটি কার্যকর কৌশল হিসেবেও ব্যবহার করছে।

تبصرے