রোববার (৩ আগস্ট) হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বৃষ্টির মধ্যে সেখানে জড়ো হয়ে ব্রিজ পেরিয়ে মিছিল করেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জও ছিলেন।
8
প্রায় দুই বছর ধরে চলা দখলদার বাহিনীর আগ্রাসনে গাজায় ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে সাম্প্রতিক সময় খাদ্যের অভাব দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন খাবারের অভাবে মৃত্যুর পাশাপাশি ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলিদের গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছেন।
'মার্চ ফর হিউম্যানিটি' আয়োজকদের ডাকা সিডনির মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কয়েকজন ক্ষুধার প্রতীক হিসেবে 'হাঁড়ি-পাতিল' বহন করছিলেন। তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের পাশাপাশি শ্লোগানে শ্লোগানে ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবি জানান।
88
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: সংগৃহীত
রাজ্যের প্রধান ও নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ শহরের 'প্রতীক' হিসেবে পরিচিত সেতুটিতে মিছিল আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল শনিবার রায় দেয়, মিছিলটি এগিয়ে যেতে পারে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের মতে, তারা শত শত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করছে এবং বিক্ষোভকারীদের 'শান্তিপূর্ণ' থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
মেলবোর্নেও একই সময়ে একই ধরণের প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানের ব্যাপক পুলিশ উপস্থিত ছিল।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলের ওপর ব্যাপকহারে কূটনৈতিক চাপ বেড়েছে। ফ্রান্স এবং কানাডা বলেছে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। ব্রিটেনও বলেছে, ইসরায়েল মানবিক সংকট মোকাবেলা না করলে এবং যুদ্ধবিরতিতে না পৌঁছালে তারাও একই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্সের সিদ্ধানের পর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার মধ্য-বামপন্থী প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, তিনি 'দ্বি-রাষ্ট্রীয়' সমাধানকে সমর্থন করেন।
ইত্তেফাক/এসকে