সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক

코멘트 · 3 견해

জিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি সিটি ব্যাংকের ২২১ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে স

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সিটি ব্যাংকের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৮০ পয়সা। আগের সপ্তাহের ২৪ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৩ টাকা ৭০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে দুই টাকা ১০ পয়সা বা পাঁচ দশমিক ২৯ শতাংশ।

গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯২৪ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৩৮০ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ২৪ জুলাই ছিল তিন হাজার ৬০৫ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার ৩৫ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে মূলধন বেড়েছে ৩১৯ কোটি ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৪৫ টাকা। গেল সপ্তাহে ৪১৩টি কোম্পানির চার হাজার ১৯৪ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সেখানে সপ্তাহটিতে সিটি ব্যাংকের ২২১ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ২৯ শতাংশ।

গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পিই রেশিও দাঁড়ায় পাঁচ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে। পিই রেশিও অনুসারে কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিরাপদে রয়েছে। পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির পিই রেশিও যদি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া পিই রেশিও ডিজিট যদি ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান করে, তবে সেখানেও বিনিয়োগ নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সেই হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। অর্থাৎ পিই রেশিও ৪০ এর ওপরে গেলে বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পিই রেশিও যত বাড়বে ঝুঁকির মাত্রা তত বাড়তে থাকবে।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন) আর্থিক প্রতিবেদনে সিটি ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা ৫৫ পয়সা। আগের বছরের (২০২৪) একই সময়ে (এপ্রিল-জুন) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল এক টাকা ১৬ পয়সা। চলতি বছরের দুই প্রান্তিক (জানুয়ারি-জুন) ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে দুই টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছরের (২০২৪) একই সময়ে (জানুয়ারি-জুন) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল এক টাকা ৮৫ পয়সা। কোম্পানিটির দুই প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে ১৮ টাকা চার পয়সা। আগের অর্থবছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ ছিল দুই টাকা ৮৭ পয়সা। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা। 

এর আগে ২০২৪ সমাপ্ত বছরে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ১৯ জুন। কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট ছিল গত ২২ মে। ওই বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছিল সাত টাকা ৫৩ পয়সা। সমাপ্ত বছরে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল ৬৬ টাকা ৪৪ পয়সা। সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ৩৪ টাকা ৩৯ পয়সা। 

১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সিটি ব্যাংক। ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন দুই হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৫২১ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১৫২ কোটি ১২ লাখ ২২ হাজার ৬৯টি। রিজার্ভে রয়েছে দুই হাজার ৯৬১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩০ দশমিক ৩৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ছয় দশমিক ৫৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

코멘트