সারাদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনেকেই এসেছিলেন জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউয়ের এলাকায়।
বিকেল পাঁচটার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার আলাদা মঞ্চ থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্রের ঘোষণা দেন।
গত প্রায় আট মাস ধরে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে নানা আলোচনার পর এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গেছে সেখানে উপস্থিত তরুণদের কাছ থেকে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইফুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমরা আশা করেছি সংবিধানে জুলাই জুলাই আন্দোলনের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। জুলাইয়ের যারা আহত হয়েছেন তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতসহ আমাদের অনেক বেশি আশা ছিল। তার অনেক কিছুই এই ঘোষণাপত্রে আমরা পাইনি"।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া তরুণদের অনেকেই জুলাই আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের দাবি জানান।
ভবিষ্যতে স্বৈরাচারি কাঠামো প্রতিরোধে তাদের অনেকেই জুলাই গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র ব্যবস্থার বড় ধরনের সংস্কারের প্রত্যাশার কথাও জানান।
সুমাইয়া আক্তার নাদিয়া এসেছিলেন মানিক মিয়া এভিনিউয়ের ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, "১৬ বছরের সব কিছু মাত্র এক বছরে পরিবর্তন হয়তো হবে না। তবে আমরা আপাতত আশা করছি সংস্কার। আমরা সংসদীয় গণতন্ত্র রাজনৈতিক সংস্কৃতির আমূল সংস্কার চাই।''