প্রতি মাসেই খুনের ঘটনা বেড়েছে, কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার

Mga komento · 15 Mga view

বাংলাদেশে গত বছর অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এক বছর পার হলেও অপরাধ কিংবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো ন??

সম্প্রতি সমালোচনার মুখে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করে দাবি করা হয়েছে যে 'চলতি বছর বড় ধরনের অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য বেড়েছে-এই দাবি সঠিক নয়। এ ধরনের অপরাধের প্রবণতা স্থিতিশীল আছে'।

 

পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা অবশ্য বিবিসির কাছে স্বীকার করেছেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রায় ভেঙে পড়া পুলিশ বাহিনীকে পুরোপুরি সক্ষম করে তোলার জন্য তারা এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

 

এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে 'ডেভিল হান্ট' কিংবা 'চিরুনি অভিযানের' মতো কর্মসূচির কথা সরকার বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হলেও সেগুলো কতটা কাজে এসেছে তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।অথচ গত এক বছর ধরেই দেশজুড়ে সেনাবাহিনীও মোতায়েন রাখা হয়েছে।তবে এতদিন 'মব' সন্ত্রাস বা কিছু লোক জড়ো হয়ে হামলা বা চাঁদাবাজির মতো ঘটনাগুলো নিয়ে এক ধরনের 'দেখেও এড়িয়ে' যাওয়ার অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি গুলশানে একজন সাবেক এমপির বাড়ি থেকে সমন্বয়ক পরিচয় চাঁদা আদায়ের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের ঘটনাকে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে 'প্রথমবারের মতো পুলিশের কোনো সক্রিয় পদক্ষেপ' হিসেবে অনেকে বিবেচনা করছেন।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেক ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারা, কিছু ঘটনায় কর্তৃপক্ষের মৌন থাকা, আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর প্রতি ভয় কমে যাওয়া এবং বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশের মধ্যেই আত্মবিশ্বাসের অভাব তৈরি হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা যায়নি।

 

তবে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশনস) মো. রেজাউল করিম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পুলিশ এখন সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে এবং এর ফলে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে এসেছে।

 

"অপরাধমূলক কোনো ঘটনাই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না–– এটি নিশ্চিত করা হচ্ছে। কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মানবাধিকার সমুন্নত রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে যা যা করণীয় সেটিই এখন করা হচ্ছে," বলছিলেন তিনি।

Mga komento