৩২ নম্বরে হেনস্তার শিকার কয়েকজন, আরও যা দেখা গেল

Comments · 21 Views

শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এসে হেনস্তার শিকার হয়েছেন কয়েকজ

শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এসে হেনস্তার শিকার হয়েছেন কয়েকজন। এর মধ্যে দুই-এক জন মারধরের শিকার হলেও কাউকে আটক করা হয়নি।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ওই সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির আশপাশ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সড়কের দুই পাশেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রেখেছে। শুধু গণমাধ্যমকর্মীদের ভেতরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

দুই পাশেই ছাত্রদলসহ বিভিন্ন দলের কয়েকজন নেতাকর্মী রয়েছেন। তারা গণমাধ্যমের সামনে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। এ ছাড়া শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা বাড়ির সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পাহারা দিতে দেখা গেছে।

সকাল থেকে কয়েকজন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন। সকাল  সোয়া ৯টায় তিন সন্তানসহ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন এক দম্পতি। তখন তারা স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়েন। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

ওই দম্পতির পিরোজপুর থেকে এক মাস আগে ঢাকায় এসেছেন বলে জানা গেছে। ঢাকায় জুতার ব্যবসা করা ওয়ালিউল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনা দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাই তারা শেখ মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন।

তবে তার স্ত্রীর ভাষ্য, তার স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ। তাকে অনেক চেষ্টা করেও আটকে রাখা যায়নি।

একই সময়ে সড়কের পূর্ব পাশে পৃথক দুই ব্যক্তি শ্রদ্ধা জানাতে এসে হেনস্তার শিকার হন। তাদের কলার চেপে ধরাসহ চড়-থাপ্পরও মারেন স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।  

পরে তাদের পুলিশ ছাড়িয়ে নিয়ে রিকশায় করে পাঠিয়ে দেয়। সকাল ১০টার দিকে এক নারী শেরেবাংলা নগর থেকে ফুল দিতে আসেন। এ সময় তিনিও হেনস্তার শিকার হন।

হালিমা নামের ওই নারী বলেন, শেখ মুজিবের পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগ করি। এ সময় পুলিশ তাকে রিকশায় করে পাঠিয়ে দেয়।

গুলশান ছাত্রদলের কর্মী তানজীব বলেন, ধানমন্ডিতে মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে এবং আওয়ামী লীগের লোকজন যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি আমরা এখানে আছি। দুই একজন আওয়ামী লীগের লোক এসেছিল, আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।

এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সকাল থেকে কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।

১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে প্রতি বছর দিনটি শোক দিবস হিসেবে পালন করা হতো। দলটির কার্যক্রম এখন নিষিদ্ধ।  

Comments