দিনভর নানা গুঞ্জন, যে কারণে বিভিন্ন দূতাবাস থেকে সরানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির ছবি

Komentar · 6 Tampilan

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দ??

তবে, কেন বা কি কারণে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর এই নির্দেশনা, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারেনি।

 

বেশ কয়েকটি দেশের বাংলাদেশি দূতাবাসে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। সেগুলোর মধ্যে কোনো কোনো দূতাবাস সরকারের মৌখিক নির্দেশনা পেয়েছে, কোনো কোনোটি সেই নির্দেশনা পায় নি।

 

এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল লন্ডনে বাংলাদেশে হাইকমিশনেও। লন্ডন হাইকমিশন সূত্র বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা পাওয়ার পর লন্ডন হাই কমিশনে থাকা রাষ্ট্রপতি মি. সাহাবুদ্দিনের ছবি শুক্রবার রাতেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।ইউরোপ মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত পাঁচটি দূতাবাস কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের মৌখিক নির্দেশনা পেয়ে দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য জানতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বিবিসি বাংলাকে বলেন, "বিগত সরকারের সময়ে আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহারের নিয়ম ছিল। রাষ্ট্রপতির ছবি রাখার কোন আইন ছিল না। তারপরও যদি কোনো অফিসে সেটা ব্যবহার করে থাকে এই সরকারের সময়, তাহলে সরকারের উচিত ছিল লুকোচুরি না করে লিখিতভাবে নির্দেশনা জারি করা"।

 

শনিবার মধ্য রাত থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ধরনের গুঞ্জন তৈরি হয় যে, রাষ্ট্রপতিকেও কী তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না?

 

নানা আলোচনার মধ্যে রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিদেশি মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর ঘটনায় ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

 

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ হলেও সাংবিধানিক সংকটের আশঙ্কা থেকে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার সে পথে হাটেনি।

Komentar