দেড় কোটি টাকার কাপড়সহ দুই কনটেইনারের খোঁজ নেই বন্দরে

Comments · 31 Views

নিলামে কেনা প্রায় দেড় কোটি টাকার কাপড়সহ দুইটি কনটেইনারের খোঁজ মিলছে না চট্টগ্রাম বন্দরে। নিলামকারীরা এ ঘটনা?

নিলামে কেনা প্রায় দেড় কোটি টাকার কাপড়সহ দুইটি কনটেইনারের খোঁজ মিলছে না চট্টগ্রাম বন্দরে। নিলামকারীরা এ ঘটনায় বিস্মিত।

লোকসান কমাতে নিলামের বিপরীতে জমা দেওয়া টাকা দ্রুত ফেরত চান তারা।  

 

সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম থেকে ৮৫ লাখ টাকায় প্রায় ২৭ টন কাপড় কেনেন শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক সেলিম রেজা।

 
 

নিলামের আগে বন্দরের ইয়ার্ডে থাকা কনটেইনারে পণ্যও পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর পণ্য ডেলিভারি নিতে মূল্য, শুল্ককর ও বন্দরের চার্জসহ এক কোটি সাত লাখ টাকা পরিশোধ করেন। অথচ ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাক নিয়ে বন্দরের ইয়ার্ডে গেলে দিনভর খোঁজাখুঁজি শেষে জানানো হয় কনটেইনারটি পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তারা কাস্টম হাউসের কমিশনার বরাবর তিনটি চিঠি দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির কোটি টাকা আটকে আছে ৭ মাস।  

 

বিডার ইয়াকুব চৌধুরীর পার্টনার তপন সিংহ অপর এক নিলামে পাওয়া কাপড়ের কনটেইনার খালাস করতে গেলে খোঁজ মেলেনি সেটিরও। ৩৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা দর হাঁকার পর ৪২ লাখ টাকা জমা দেন কাস্টম হাউসে।  

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরে নিলামের দুইটি কনটেইনারের খোঁজ মিলছে না এমন অভিযোগ এসেছে আমাদের কাছে। সমস্যা হচ্ছে বন্দরের ইয়ার্ড ও টার্মিনালে কনটেইনার মুভিংয়ে থাকে। স্থান পরিবর্তন হয় হ্যান্ডলিং, ডেলিভারি, কিপডাউন, আনস্টাফিং কাজের সুবিধার্থে। কিন্তু কনটেইনারগুলো সিস্টেমে লিপিবদ্ধ থাকে। কনটেইনার বন্দর থেকে বের হওয়ার পথে নানাভাবে কাগজপত্র যাচাই করা হয়। বন্দর যদি কনটেইনার দুইটির খোঁজ শিগগির দিতে না পারে তাহলে আমরা রিফান্ডের প্রসেসে অর্থাৎ বিডারদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করবো।  

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরে ৪৮ হাজার কনটেইনার আছে। এর মধ্যে নিলামযোগ্য, ধ্বংসযোগ্য কনটেইনার আছে ১০ হাজারের বেশি। ডেলিভারি, নমুনা সংগ্রহ, কায়িক পরীক্ষাসহ নানা কারণে কনটেইনার মুভমেন্ট করতে হয়। কনটেইনারের স্থানচ্যুতি ঘটে। তাই দুইটি কনটেইনারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিশেষভাবে খোঁজ করা হচ্ছে। খোঁজ পাওয়া মাত্রই সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হবে।  

Comments