জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তালবাহানা করা হচ্ছে। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের মর্যাদা ও যারা আহত হয়েছেন তাদের রাজনৈতিক নিরাপত্তার কথা থাকতে হবে জুলাই সনদপত্রে এবং বাংলাদেশের সংবিধানে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এনসিপি আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এক ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা এখনো সম্ভব হয়নি। আমরা দেখতে পাচ্ছি সেই স্বৈরাচারী সরকারের কাঠামোকে এখনো রেখে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই আগের লুটেরাদেরকে সেভ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সহ ছাত্র-তরুণেরা রাজপথে নেমেছিল নতুন দেশের জন্য, একটা দলের পরিবর্তে আরেকটা দল গঠনের জন্য নয়। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার জন্যই আমরা মাঠে নেমেছি।
এ সময় দলটির সহ সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, ড. আতিক মুজাহিদ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার বিকেলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপির আয়োজনে দিনাজপুর গোরে শহীদ বড়মাঠ থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়। পরে সেখান থেকে ইনস্টিটিউট মাঠে পথসভায় যোগদিয়ে বক্ত্যব্য রাখেন নেতৃবৃন্দরা। এর আগে শহরের জোড়াব্রীজ সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারে জুলাই আন্দোলনে আহত, শহীদ পরিবার ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। একই দিন সকালে ঠাকুরগাও পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পদযাত্রা ও পথসভার করে এনসিপি।
জানা যায়, আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্র সনদের দাবিতে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মত আবারও বিশাল জমায়েত করবে