আল হিলালকে হারিয়ে সেমিতে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

commentaires · 53 Vues

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে চমক দেখিয়েছিল সৌদি ক্লাব আল হিলাল। শেষ ষোলোতে ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ম্যানচেস্ট

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে চমক দেখিয়েছিল সৌদি ক্লাব আল হিলাল। শেষ ষোলোতে ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে প্রথম কোনো এশিয়ান ক্লাব হিসেবে এমন কীর্তি গড়ে তারা। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের মুখোমুখি হওয়ার আগে আলোচনায় উঠে আসে মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে বেশি আর্থিক বৈষম্যের প্রসঙ্গ। কোটি কোটি ডলারের মালিক আল হিলালের বিপরীতে বাজেট সংকটে থাকা ফ্লুমিনেন্সকে ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তবে ফ্লুমিনেন্স কোচ রেনাতো পোর্তালুপ্পি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন—ফয়সালা হবে ব্যাংক ব্যালান্সে নয়, বরং মাঠে।

ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে সেই কথারই প্রমাণ করলেন কোচ রেনাতো পোর্তালুপ্পির শিষ্যরা। ২-১ ব্যবধানে জিতে ফ্লুমিনেন্স আল হিলালের স্বপ্নযাত্রা থেকে ছিটকে দিয়েছে। সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্ট ফান্ডের অধীনে ক্রীড়াঙ্গনে বিপুল অর্থ বিনিয়োগের কথা কারও অজানা নয়। যে ফান্ডের বড় ভাগিদার আল হিলাল, অর্থবিত্তে মোড়ানো ক্লাবটির সঙ্গে ফ্লুমিনেন্সের বড় ব্যবধান ছিল ম্যাচের আগে। একইসঙ্গে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি ভুগছিল বাজেট সংকটে। 

ফলে আল হিলাল-ফ্লুমিনেন্সের ম্যাচের আগে আর্থিক ব্যবধানের বিষয়টি উঠেছিল কোচদের সামনে। যেখানে নিজেদের বাজেট ও অর্থ সংকটের কথা স্বীকার করে মাঠের খেলায় মূল ব্যবধানটা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ফ্লুমিনেন্স কোচ পোর্তালুপ্পি। একইসঙ্গে উল্লেখ করেন, শেষ আটে ওঠা দলগুলোর মধ্যে তার শিষ্যরা ছিল ‘কুৎসিত হাঁসের বাচ্চা’র মতো। কিন্তু সেই হাঁসই তাকে সোনার ডিম এনে দিয়েছে। ৪০ ও ৭০ মিনিটে দুটো গোল পায় ফ্লুমিনেন্স। বিপরীতে ৫১ মিনিটে সমতায় ফেরা আল হিলাল শেষ পর্যন্ত আর ব্যবধান ঘোচাতে পারেনি।

ম্যাচটিতে অবশ্য দাপুটে অবস্থান ছিল আল হিলারেরই। পজেশনে ৫৮ শতাংশ রেখে সিমোন ইনজাঘির দলটি ১৫টি শট নেয়। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৪টি। বিপরীতে ১০ শটের ৩টি লক্ষ্যে রেখেই ফলাফল নিজেদের পক্ষে রাখে ফ্লুমিনেন্স। বিরতির আগেই সেলেসাও ক্লাবটিকে প্রথম লিড এনে দেন মাথিয়াস মার্টিনেল্লি। কর্নার থেকে আসা বল সতীর্থ গ্যাব্রিয়েল ফুয়েন্তেস পাস দেন ১৬ গজ দূরত্বে, দারুণ ফিনিশিংয়ে ২৩ বছর বয়সী সেলেসাও ফরোয়ার্ড তাকে গোলে পরিণত করেন।

এরপর একবার গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল আল হিলাল। পেনাল্টির ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন রেফারি, কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) তা বাতিল করে দেয়। তবে সৌদি ক্লাবটিকে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি সমতায় ফেরার জন্য। ৫১ মিনিটে হেডের মাধ্যমে গোল করেন কালিদু কুলিবালি। এটি ছিল টুর্নামেন্টে তার চতুর্থ এবং আল হিলালকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনা গোল।

অন্যদিকে, ফ্লুমিনেন্সের হয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন বদলি হিসেবে নামা হারকিউলিস। আগের ম্যাচে যিনি করেছিলেন দলের শেষ গোল, তিনিই ৭০ মিনিটে জালের দেখা পেয়ে দলকে এগিয়ে দেন। বাকি সময়জুড়ে আল হিলাল প্রবল চাপ সৃষ্টি করলেও গোলের মুখ খুঁজে পায়নি, আর সেই ব্যবধানই নির্ধারণ করে দেয় ম্যাচের ফলাফল।

commentaires