অলসভাবে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু এই অলসতা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। তাছাড়া অলস ব্যক্তি কখনো জীবনে উন্নতি করতে পারে না। জীবনের লড়াইয়ে সবসময় সে পিছিয়ে থাকে। চিকিৎসকরা বলছেন, অলসতা সবসময় ইচ্ছাকৃত নয়—অনেক সময় মানসিক সমস্যা বা অসুস্থতার কারণেও হয়ে থাকে।
তাদের মতে, অতিরিক্ত আলস্য, ক্লান্তি ভাব বা ঝিমুনির কারণ কিন্তু ভিটামিনের অভাব। শরীরে ভিটামিন ও খনিজের নির্দিষ্ট ভারসাম্য আছে, তা বিগড়ে গেলেই তখন পেশির ক্লান্তি বাড়ে। শরীরের দুর্বলতাও বাড়ে।
মূলত দুই ভিটামিনের অভাবে এমন হয়-
শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২-এর সঠিক মাত্রা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই দুই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীরে নানান শারীরিক ও মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।
ভিটামিন ডি-র অভাবে হাড় ক্ষয়, হাঁটুতে ব্যথা, চুল পড়া, ত্বক ও নখ দুর্বল হয়ে পড়া ছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও ঝিমুনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
অন্যদিকে, ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি অনিদ্রা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, বিভিন্ন মানসিক রোগের ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি হাত-পা কাঁপা, পেশিতে টান ধরা, অসাড়তা ও মাথা ঘোরা সৃষ্টি করতে পারে।
আর আলস্য কাটাতে হলে জীবনযাপনে কিছু প্রয়োজনীয় বদল আনতে হবে। সে জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া, রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম এবং প্রতিদিন নিয়ম মেনে শরীরচর্চাও জরুরি।