খেলোয়াড় থাকাকালীন অবৈধ সরকারের প্রলোভনে পড়ে সাকিব আল হাসানের এমপি হওয়ার বিষয়টি যদি ভুলে যান, তাহলে ওই যে রক্ত ঝরেছে এবং যাদের জীবন গেছে, তাদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
তিনি বলেন, ফুটবলের ফিটনেসটা রাজনীতিতে এসেও কাজে লাগছে। বিশেষ করে এখন সারা দিন কথা বলতে হয়। তবু আমি ক্লান্ত হই না। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় নিজের ফিটনেসসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এভাবেই মন্তব্য করেছেন আমিনুল হক।
এমনকি অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরও বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুলের দেখা পেতে যে মাঝরাতেও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের চত্বরে উপস্থিত হন অনেক নেতা-কর্মী। এ সময় তাদের হাসিমুখে বিদায় দিতেও পেরিয়ে যায় তার আরও কিছু সময়।
এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ আমিনুলের তবু ফুটবল নিয়ে কথা না বললেই নয়। এখন প্রবাসীদের ঘিরে দেশের ফুটবল জাগরণের যে চেষ্টা, সেটির বিরোধিতা না করলেও এটিকে সমাধান বলেও মনে করেন না ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের গোলরক্ষক, ‘প্রবাসীদের এনে আমরা সাময়িকভাবে উপকৃত হতে পারি। কিন্তু সত্যিকারের উন্নতি করতে হলে আমাদের তৃণমূলে যেতেই হবে। আগের মতো সোহরাওয়ার্দী কাপ ও মা-মণি গোল্ডকাপের মতো টুর্নামেন্টগুলো চালু করতে হবে।’
আলোচনায় যে প্রসঙ্গ ওঠা অবধারিত ছিল, সেটি তোলার দিন সন্ধ্যায়ই আবার গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান।
একই দলের এমপি হওয়ার সুবাদে দেশে ফিরতে পারছেন না সাকিব আল হাসান, আড়ালের জীবন বেছে নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজাও। তাদের নিয়ে আমিনুলের কণ্ঠ খুব জোরালোও নয়। তা নিয়ে প্রশ্নে এই সাবেক অধিনায়ক ব্যাখ্যা করলেন নিজের অবস্থান, ‘স্বৈরাচারের দোসর এবং অবৈধ সংসদের একজন এমপি সাকিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে। খেলোয়াড় থাকাকালীন অবৈধ সরকারের প্রলোভনে পড়ে তার এমপি হওয়ার বিষয়টি যদি ভুলে যান, তাহলে ওই যে রক্ত ঝরেছে এবং যাঁদের জীবন গেছে, তাদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।’