সিরিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ৩০

टिप्पणियाँ · 33 विचारों

সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায় অধ্যুষিত সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর সুইদাতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহ?

সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায় অধ্যুষিত সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর সুইদাতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

আজ সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাত এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স

এ সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে একাধিক অপহরণের ঘটনার পর। গত শুক্রবার দামাস্কাস-সুইদা মহাসড়কে একজন দ্রুজ ব্যবসায়ী অপহরণের ঘটনাও এরমধ্যে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

এটাই প্রথমবার সুইদা শহরের ভেতরে এমন ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। সুইদা প্রদেশের রাজধানী এই শহরটি মূলত দ্রুজ সম্প্রদায়ের বসবাস।

গত এপ্রিলেও দামাস্কাসের দক্ষিণ-পূর্বে জার্মানির শহরে সুন্নি যোদ্ধা ও দ্রুজ বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এটি পরে প্রদেশের রাজধানীর নিকটবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সরাসরি হস্তক্ষেপ শুরু করবে এবং সুইদার স্থানীয় দলগুলোকে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সশস্ত্র বেদুইন উপজাতির সদস্যরা শহরের পশ্চিম এবং উত্তর প্রান্তে দ্রুজ গ্রামগুলিতেও হামলা চালিয়েছে।

একটি চিকিৎসা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সুইদার রাজ্য হাসপাতালের মরচুয়ারিতে অন্তত ১৫টি মরদেহ আনা হয়েছে। প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য দেরা শহরে পাঠানো হয়েছে।

সিরিয়ার এই সাম্প্রদায়িক রক্তক্ষয়ী ঘটনা দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গত ডিসেম্বর ইসলামপন্থী বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে এবং সরকার গঠন করে। আসাদ পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন।

মার্চ মাসে আসাদ অনুগামীদের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে শত শত আলাওয়াইটকে হত্যার পর সংখ্যালঘুদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়

टिप्पणियाँ
खोज