নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উ. কোরিয়া

コメント · 6 ビュー

ত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের উপস্থিতিতে দুটি নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চাল??

কেসিএনএ জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র দুটি “অসাধারণ যুদ্ধক্ষমতা” সম্পন্ন এবং এতে প্রয়োগ করা হয়েছে “অদ্বিতীয় প্রযুক্তি”। সংস্থাটি আরও জানায়, নতুন প্রজেক্টাইলের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইলসহ বিভিন্ন আকাশীয় লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। খবর বিবিসির।

শনিবারের (২৩ আগস্ট) এই পরীক্ষা এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন এর কয়েক ঘণ্টা আগেই দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৩০ জন সেনা সাময়িকভাবে ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজেড) অতিক্রম করলে সতর্কতামূলক গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনার পর পিয়ংইয়ং সিউলের বিরুদ্ধে “ইচ্ছাকৃত উসকানির” অভিযোগ তোলে।

এদিকে সোমবার (২৫ আগস্ট) থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া বৃহৎ পরিসরের যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। একই দিন ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং-এর মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। লি নির্বাচনী প্রচারণায় আন্তঃকোরীয় সম্পর্ক উন্নয়নের অঙ্গীকার করেছিলেন। তবে ইতোমধ্যে কিম জং উনের বোন সিউলের সমঝোতার প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

চলতি মাসের শুরুর দিকে কিম যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়াকে “চরম শত্রুতাপূর্ণ ও সংঘাত উসকানিমূলক” বলে অভিহিত করে পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সম্প্রসারণের অঙ্গীকার করেছিলেন। জানুয়ারিতেও উত্তর কোরিয়া দাবি করেছিল যে তারা একটি নতুন মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা হাইপারসনিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এবং “প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়ন্ত্রণে রাখবে।”

দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন সমর্থনে সেনা পাঠানোর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি পাচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়লের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিন ওয়নশিক গত বছর অভিযোগ করেছিলেন, মস্কো পিয়ংইয়ং-এর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। তবে সর্বশেষ পরীক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রে রুশ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া বিশ্বের অন্যতম কঠোর স্বৈরশাসিত রাষ্ট্র, যেখানে কিম পরিবার কয়েক দশক ধরে শাসন করে আসছে। ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের অবসান হলেও শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে আবদ্ধ রয়েছে। যদিও বহু বছর ধরে সীমান্তে সরাসরি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি।
コメント