রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের

Mga komento · 18 Mga view

রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনি??

রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের সংগঠন অর্পণ আলোক সংঘ আয়োজিত ‘সামাজিক সুরক্ষা কতটা সুরক্ষিত?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

দেশের রাজনৈতিক সংকটের পেছনে ভয়াবহ দুর্নীতিকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজ নিয়ে নিয়েছেন সংসদ সদস্য, যেটা তার কাজ নয়। আইন প্রণয়নের বদলে তারা রাস্তা উন্নয়ন, ভবন উন্নয়ন, এমনকি গাড়ি কেনা হবে কি না, সেটা নিয়ে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, কৃষি কোনোটিই বিচ্ছিন্ন নয় জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এসব কিছুই রাষ্ট্রকাঠামোর ওপর নির্ভর করে। জনগণ কাদের নির্বাচিত করছেন, যাদের নির্বাচিত করছেন, তারা কীভাবে দেশকে পরিচালনা করছেন- এসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেড় বছরেই সেই ক্ষতি পূরণ হবে, এমনটা ভাবা যাবে না। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্রকাঠামোয় সংস্কার আনার পরামর্শ দেন বিএনপি মহাসচিব। 

তিনি আরও বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে বা জোড়াতালি দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট চিন্তা ও লক্ষ্য।

আলোচনায় আমলারা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়িত্বরত উপদেষ্টারাও অসহায় হয়ে পড়ছেন। একজন মফস্বলের শিক্ষককে সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকায় আসতে হয়। এটার তো প্রয়োজন ছিল না। এর জন্য দায়ী সিস্টেম। মফস্বলের শিক্ষক যদি সেন্ট্রালে না আসেন, তাহলে ঘুষটা আসবে কোথা থেকে? 

মির্জা ফখরুল বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ হয় ঘুষ দিয়ে, স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ হয় ঘুষ দিয়ে, নার্সদের নিয়োগ হয় ঘুষ দিয়ে। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তিনি আশাবাদী। হতাশ হতে চান না। তার পরও হতাশ হতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমি যখন একটা প্রগতিবাদী সমাজ দেখতে চাই, যখন একটা মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা চাই, আমি যখন জনগণের বৈষম্য কমিয়ে আনতে চাই তখন দেখি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভিন্ন চিন্তা করা হচ্ছে, সেটাকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা হচ্ছে, মানুষের চিন্তাভাবনাগুলোকে এবং একটা উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন হতাশা আসবেই।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু। সভা সঞ্চালনা করেন অর্পণ আলোক সংঘের চেয়ারম্যান বীথিকা বিনতে হোসাইন।

Mga komento