সেদিন ভেঙে গিয়েছিল হেমা মালিনীর বিয়ে

Yorumlar · 7 Görüntüler

পর্দায় নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে হিন্দি সিনেমার দর্শকের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছেন হেমা মালিনী। ?

পর্দায় নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে হিন্দি সিনেমার দর্শকের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছেন হেমা মালিনী। তবে এই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনের গল্পও কম রোমাঞ্চকর নয়। বিশেষ করে তাঁর প্রেম, বিয়ে তো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।

বলিউডের সোনালি যুগে রুপালি পর্দার প্রেম বারবার ছড়িয়ে পড়েছে বাস্তব জীবনে। এসব প্রেমকাহিনির তালিকায় সবার আগে থাকে হেমা মালিনী আর ধর্মেন্দ্রর নাম।
রোমান্টিক জুটি মানেই ছিল হিন্দি সিনেমার সফলতার নিশ্চয়তা। অমিতাভ-রেখা থেকে রেখা-জিতেন্দ্র—তাঁদের পর্দার রসায়ন ভক্তদের মাতিয়ে রেখেছিল। কিন্তু যখন বিষয়টি বাস্তব বিয়েতে গড়াত, তখন তা যেন সিনেমাকেও ছাড়িয়ে যেত নাটকীয়তায়। হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর বিয়ে এমনই এক কাহিনি—যেখানে ছিল প্রেম, প্রত্যাখ্যান, বিচ্ছেদ কী ছিল না!

 

হেমাকে বিয়ে করতে চাইতেন কারা
ধর্মেন্দ্রই নন, আরও অন্তত তিনজন বড় তারকা হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অভিনেতা সঞ্জীব কুমার একবার নয়, দু-দুবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু হেমা রাজি হননি। পরে সঞ্জীব কুমারের পক্ষ হয়ে জিতেন্দ্র প্রস্তাব পৌঁছে দেন হেমার কাছে।

হেমা মালিনী। আইএমডিবি
হেমা মালিনী। আইএমডিবি

সুযোগ বুঝে জিতেন্দ্র নিজেই প্রস্তাব দেন তাঁকে। এবার হেমা না করেননি। দুই পরিবার রাজি হয়ে যায়, আর হেমার মা জয় চক্রবর্তী এই সম্পর্কে সায় ছিল।

 

বিয়ে ভেস্তে গেল কীভাবে
হেমা আর জিতেন্দ্র প্রায় বিয়ের মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তিরুপতি মন্দিরে আয়োজনও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নাটকীয় মোড় আসে, যখন জিতেন্দ্রর শৈশবের প্রেমিকা শোভা সিপ্পি ছুটে যান ধর্মেন্দ্রর কাছে। তিনি অনুরোধ করেন, বিয়ে যেন না হয়। শোভা ও ধর্মেন্দ্র একসঙ্গে বিশেষ বিমানে চেপে পৌঁছে যান মন্দিরে।
সেখানে গিয়ে শোভা মুখোমুখি হন জিতেন্দ্রর। জানান, ১৪ বছর বয়স থেকেই তিনি জিতেন্দ্রর প্রেমে। অন্যদিকে আলাদা কক্ষে ধর্মেন্দ্র প্রাণপণ অনুরোধ করেন হেমাকে, যেন তিনি এই বিয়ে না করেন। দুই পরিবারের কাছে বিষয়টি ছিল অপমানজনক, আর শেষমেশ ভেঙে যায় সেই আয়োজন।

ধর্মেন্দ্রর ভূমিকা
হেমার জীবনীতে উল্লেখ আছে, জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে আটকাতে ধর্মেন্দ্র একরকম মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। একই সময়ে শোভা তাঁর দাবি জানাচ্ছিলেন, জিতেন্দ্র কেবল তাঁরই। অন্যদিকে অভিনেত্রী সুলক্ষণা পণ্ডিত পরে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনিও সঞ্জীব কুমারকে ভালোবাসতেন। প্রেম-প্রত্যাখ্যান-আকাঙ্ক্ষার এই জটিল জাল তখন বলিউডের আলোচিত অধ্যায় হয়ে দাঁড়ায়।

হেমা মালিনী। আইএমডিবি
হেমা মালিনী। আইএমডিবি

ভালোবাসা পাকাপোক্ত করল কোন বিশ্বাস
সমস্যা ছিল আরেকটি—ধর্মেন্দ্র তখন বিবাহিত, স্ত্রী প্রকাশ কৌর তাঁকে ডিভোর্স দিতে রাজি নন। তাই একসঙ্গে থাকার জন্য দুজনই ধর্ম পরিবর্তন করেন। ১৯৭৯ সালে ধর্মেন্দ্র ‘দিলওয়ার খান কেওয়াল কৃষ্ণ’ নামে পরিচিত হন, আর হেমা নাম নেন ‘আয়েশা বি আর চক্রবর্তী’। ১৯৭৯ সালের ২১ আগস্ট বিয়ে সম্পন্ন হয়, মোহরানা ধার্য হয় ১ লাখ ১১ হাজার রুপি। পরে ১৯৮০ সালের ২ মে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন

শুরুটা হয়েছিল এক প্রেম ত্রিভুজ দিয়ে, শেষমেশ সেটি হয়ে ওঠে বিশ্বাস, গোপনীয়তা আর সাহসের গল্প। ধর্মেন্দ্র আর হেমার প্রেম তাই রোমান্টিক সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়।

Yorumlar