ডাকসু নির্বাচনের প্রচার শুরু, উৎসবমুখর ক্যাম্পাসডাকসু নির্বাচনের প্রচার শুরু, উৎসবমুখর ক্যাম্পাস

Reacties · 21 Uitzichten

১ প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসুর সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের ভিপ?

১ প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসুর সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, ২ ডাকসু ও হল সংসদের প্রার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থীরা, ৩ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের জিএস প্রার্থী আল সাদী ভুইয়া, ৪ শুভেচ্ছা বিনিময়ে শিবিরের প্রার্থীরা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভয়হীন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আবাসিক হলগুলো থেকে ‘গেস্টরুম সংস্কৃতি’ (নির্যাতন করা) বিদায় নিয়েছে। হলে হলে গণরুমে গাদাগাদি করে আর থাকতে হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। এখন আর কাউকে জোর করে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে নেওয়া হয় না। গণ-অভ্যুত্থানের পর এবার অনেকটাই ভয়হীন পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেন শিক্ষা ও গবেষণার সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির অবসান হয়। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটে।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নাদিয়া ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। শুধু রাজনীতি নিয়ে পড়ে না থেকে সত্যিকার অর্থে যাঁরা শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়াতে কাজ করবেন, তাঁদেরই বেছে নেব।’

গণ-অভ্যুত্থানের পর এবার অনেকটাই ভয়হীন পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

ভোটের প্রচার শুরুর প্রথম দিনেই বিভিন্ন আবাসিক হল, অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের সামনে প্রার্থীদের পরিচয়সহ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। হলে হলে ও বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চেয়েছেন প্রার্থীরা।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে গতকাল দুপুরে কথা হয় অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী মাশিয়াত লামিসার সঙ্গে। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কী প্রত্যাশা করেন—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেকের কাছে রাজনৈতিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এই জায়গাটিতে পরিবর্তন আসা দরকার। এবারের ডাকসু যেন সেই পরিবর্তন আনে।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জিহাদ আলীর উচ্ছ্বাস মনে হলো অন্যদের চেয়ে বেশি। এই তরুণ বললেন, ‘ক্যাম্পাসে এসেছি মাত্র দুই মাস হলো। এসেই ডাকসু নির্বাচন পাচ্ছি। সেদিক থেকে আমরা ভাগ্যবান বলতে পারেন। বড় ভাইদের কাছে শুনেছি, আগে ক্যাম্পাসের অবস্থা কেমন ছিল! সেই পরিবেশ যাতে আর ফিরে না আসে।’

ভোটের প্রচার শুরু

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রচার শুরু করেছেন বামপন্থী সাতটি ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে গঠিত ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের প্রার্থীরা। এই প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ (ইমি), জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী মেঘমল্লার বসুর নেতৃত্বে প্যানেলের সদস্যরা গতকাল সকালে শহীদ মিনারে যান। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এই প্যানেলের প্রার্থীরা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, টিএসসি ও কলা অনুষদ এলাকায় জনসংযোগ করেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ কিছু বিষয়ে প্যানেলের অবস্থান তুলে ধরেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গেই আছি এবং আমাদের যে প্রচারণা, তা পূর্ণভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা যদি বুঝতে পারি, এখানে পুরো ভোটের বিষয়টি একটি স্ক্যাম (জালিয়াতি) এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ন্যূনতম মেরুদণ্ড নেই, সে ক্ষেত্রে আমরা নির্বাচনে না-ও থাকতে পারি।’

ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ভিসি চত্বরে একাত্তরের শহীদদের স্মৃতিফলক ‘স্মৃতি চিরন্তন’-এ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রচার শুরু করেন। ‘প্রতিশ্রুতি নয়, পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’ স্লোগানে এবারের ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরা।

ক্যাম্পাসে এসেছি মাত্র দুই মাস হলো। এসেই ডাকসু নির্বাচন পাচ্ছি। সেদিক থেকে আমরা ভাগ্যবান বলতে পারেন। বড় ভাইদের কাছে শুনেছি, আগে ক্যাম্পাসের অবস্থা কেমন ছিল! সেই পরিবেশ যাতে আর ফিরে না আসে।
ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জিহাদ আলী

ছাত্রদলের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তাঁরা।

গতকাল বিকেলে কবি জসীমউদ্‌দীন হলের সামনে থেকে প্রচার শুরু করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের প্যানেল ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’। এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের ও জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার নিজ প্যানেলের অন্য প্রার্থীদের নিয়ে প্রচারে অংশ নেন।

আবু বাকের মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ইশতেহার শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। সব প্যানেল শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে আমরা আলাদা করে কিছু বিষয় ইশতেহারে তুলে ধরেছি।’

জগন্নাথ হলের বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রচার শুরু করে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’। তখন উমামার সঙ্গে ছিলেন এই প্যানেলের জিএস প্রার্থী আল সাদী ভূঁইয়াসহ অন্য প্রার্থীরা।

গতকাল দুপুরে জোহরের নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে প্রচার শুরু করেন ইসলামি ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা। এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে একাডেমিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এখন পর্যন্ত আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গেই আছি এবং আমাদের যে প্রচারণা, তা পূর্ণভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা যদি বুঝতে পারি, এখানে পুরো ভোটের বিষয়টি একটি স্ক্যাম (জালিয়াতি) এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ন্যূনতম মেরুদণ্ড নেই, সে ক্ষেত্রে আমরা নির্বাচনে না-ও থাকতে পারি।
প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু

ছাত্র অধিকার পরিষদ–সমর্থিত প্যানেল ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন–সমর্থিত ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকারের উদ্যোগে গঠিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালিয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীরাও নিজেদের মতো করে প্রচার চালিয়েছেন বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে ও ক্যাম্পাসের নানা জায়গায়।

ডাকসুর ২৮ পদে প্রার্থী ৪৭১ জন, ছাত্রী ৬২ জন ডাকসু ও হল সংসদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ছাত্রী ৬২ জন। ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।

গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট চৌধুরী ভবনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, ২৮ জন প্রার্থী তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এ ছাড়া প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ডাকসুর ভিপি পদে ৪৫ জন, জিএস পদে ১৯ জন ও এজিএস পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সম্পাদকীয় পদগুলোর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদে ২১৭ জন প্রার্থী হয়েছেন।

চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, যে ৬২ জন ছাত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে ১ জন ও এজিএস পদে রয়েছেন ৪ জন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ২ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ৩ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৩ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পদে ২ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ৩ জন এবং সদস্য পদে ২৫ জন ছাত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে।

ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ শিবিরের

প্রচারের প্রথম দিনেই ছাত্রশিবির–সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়। চারুকলা অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চারুকলা অনুষদের সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে। একই সঙ্গে বোরকা পরা একজন নারী শিক্ষার্থীর ছবিকে বিকৃত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানানো হয়।

ভোটের দিন ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। প্রথম স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা, দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ এবং তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশমুখে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে অবস্থান নেবে সেনাবাহিনী।

গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ডাকসু ও হল সংসদের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। সভায় ডাকসু ও হল সংসদের ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে। ভোট শেষে ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র সেনাসদস্যরা ঘিরে রাখবেন। ভোট গণনার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।

আবাসিক হলগুলোর বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে আবাসিক হলে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না। নিয়মিত টহল পরিচালনার মাধ্যমে এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনের আগের দিন (৮ সেপ্টেম্বর) ও নির্বাচনের দিন (৯ সেপ্টেম্বর) মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে। নির্বাচনের দিন বৈধ শিক্ষার্থী, অনুমোদিত সাংবাদিক ও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

Reacties