মাহদী মল্লিকের কবিতা

टिप्पणियाँ · 55 विचारों

১. অন্নের খোঁজে

দুরূহ হয়ে পড়েছে
আজকের ভালো থাকা
কৃষ্ণ আলাদা হয়ে গেছে

১. অন্নের খোঁজে

দুরূহ হয়ে পড়েছে
আজকের ভালো থাকা
কৃষ্ণ আলাদা হয়ে গেছে
রাধার থেকে (কংস বধে)
লাইলীর থেকে মজনু
হয়েছে আলাদা (সমাজচিত্রে)
যেন তাই উন্মাদনায় আজ
ভিজে আছে বন আর
সেই বনের মধ্যে
দেখা যাচ্ছে আমাকে

আমি কী তবে কালকেতু
যে বনের ভেতরে খুঁজে যাচ্ছি
বেঁচে থাকার নিদর্শন!

২. সম্মানী

‘দৈনিক পত্রিকায়’ কেউ কেউ
কবিতা লেখে, কেউ গল্প-
কেউ বা প্রভৃতি সাহিত্য বিষয়াদি।
আমার কারো লেখা পড়া হয় না
আমার লেখাও পড়া হয় না সবার
একদিন এই অনুশোচনায়
আমি আর ‘দৈনিকে লিখলাম না’
তারাও লিখলো না কেউ।

দৈনিক পত্রিকা- এরপর থেকে
আমাদের ‘পারিশ্রমিক’ দিতে লাগলো
এখন আমরা সবাই সবার লেখা পড়ি।

৩. পরিচয় পর্ব

কষ্ট পরিচিত একটা শব্দ-
এমন কেউ নেই যে কখনো কষ্ট উপলব্ধি করেনি

একবার আমার আম্মার কষ্ট
উপলব্ধি করতে গিয়ে জেনেছি
আম্মা কষ্ট পেয়েছেন আমার আব্বার থেকে।
এ-কথা আম্মার চোখেমুখে তাকালেই
পড়ে ফেলা যায়, আদর্শলিপির মতন।

আব্বা ভাগ্যক্রমে কষ্ট পেয়ে ছিলেন
তার বংশ পরম্পরায়—
কেননা আব্বা সবসময়ই
আফসোস করে বলেন, তার পিতা নাকি
‘খুব ভালো মানুষ ছিলেন।’
শুনেছি ভালো মানুষদের
অত্যাধিক দুঃখ-কষ্ট থাকে।
আমার আব্বাও পাড়ায়-পাড়ায়
ভালো মানুষ হবার
দারুণ সুনাম কুড়িয়েছেন...

আর আমি কার থেকে কষ্ট পেয়েছি
আব্বার থেকে নাকি আম্মার থেকে?
এই কথা ভাবতে গিয়ে মনে পড়লো
আমার চাকরি নেই।

৪. অবগুণ্ঠন

মেঘ করে আসতেছে
গাঢ় কালো মেঘ
‘এই মেঘের রঙ দিয়ে যে কেউ
চোখে এঁটে নিতে পারবে কাজলের দৃশ্য’
হয়তো ঝুউম বৃষ্টি হবে এখন
আমিও ভিজবো, ভিজে দেখবো
বৃষ্টির জলে এমন কী আছে
যা সুস্বাদুর উপস্থাপন!

জানি না, আমার আব্বা বর্ষা এলেও
কর্ম করার নাম করে
কেনো প্রতিদিন ভিজতে যান মাঠে

নাকি আব্বাকে ভিজিয়ে দিতেই
বর্ষা আসে-
একটা ঋতুর অবয়বে!

দেখেছি, বৃষ্টি নামলে আমার আব্বার
চোখের জল আর দেখা যায় না।

৫. চলচ্চিত্রের জীবন

কানামাছি খেলতে গিয়ে
একটি বৃক্ষের সাথে ধাক্কা খেয়ে
একবার
স্মৃতি শক্তি হারিয়ে গেল

এরপর থেকে
আমার জীবনটা হয়ে উঠলো
‘পুরোনো দিনের বাংলা ছায়াছবি!’

टिप्पणियाँ
खोज