স্মার্টফোনে নেটওয়ার্ক সমস্যা? সমাধান করুন এই ৫ উপায়ে

Commenti · 47 Visualizzazioni

ঘরে বসে হোক কিংবা দূরে কোথাও ভ্রমণে—স্মার্টফোনে নেটওয়ার্ক না থাকলে মুহূর্তেই থমকে যেতে পারে যোগাযোগ। কল করা

ঘরে বসে হোক কিংবা দূরে কোথাও ভ্রমণে—স্মার্টফোনে নেটওয়ার্ক না থাকলে মুহূর্তেই থমকে যেতে পারে যোগাযোগ। কল করা যায় না, ইন্টারনেট কাজ করে না, এমনকি জিপিএসও বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি প্রয়োজনে যখন পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখন এই সমস্যায় পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললে দুর্বল সিগন্যাল বা নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নিই, স্মার্টফোনের নেটওয়ার্ক সমস্যা দূর করার কার্যকর ৫টি উপায়।

১.এয়ারপ্লেন মোড

মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল হলে প্রথমেই ফোনের ‘এয়ারপ্লেন মোড’ চালু করে কয়েক সেকেন্ড পর তা বন্ধ করে দিতে হবে। এতে ফোনের নেটওয়ার্ক, ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ সংযোগ নতুন করে চালু হয়, যা নিকটবর্তী মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করে। অনেক সময় এ পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কের সিগন্যাল দ্রুত ফিরে পাওয়া যায়।

২. নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট

যদি এয়ারপ্লেন মোড চালু বা বন্ধ করেও কাজ না হয়, তাহলে ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করতে হবে। ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করলে মোবাইল ডেটা, ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ–সংক্রান্ত আগের সেটিংস মুছে গিয়ে ডিফল্ট কনফিগারেশন চালু হয়। তবে রিসেটের ফলে ফোনে সংরক্ষিত ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড, ভিপিএন প্রোফাইল ও মোবাইল অপারেটরের নির্দিষ্ট কিছু সেটিংস মুছে যেতে পারে। তাই সেটিংস রিসেট করার আগে প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

৩. ক্যারিয়ার সেটিংস হালনাগাদ

নেটওয়ার্কের সিগন্যাল দুর্বল হওয়ার একটি সাধারণ কারণ হতে পারে ক্যারিয়ার সেটিংস পুরোনো হয়ে যাওয়া। মোবাইল অপারেটররা নিয়মিত নতুন ক্যারিয়ার সেটিংসের আপডেট পাঠায়, যা কল, ডেটা ও বার্তার গুণগত মান উন্নত করে। আইফোনে এই আপডেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনস্টল হলেও অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনে তা ম্যানুয়ালভাবে ইনস্টল করতে হয়। তাই ফোনের সেটিংসে গিয়ে ক্যারিয়ার ও সিস্টেম আপডেট রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে হবে।

৪. স্মার্টফোন রিস্টার্ট

অনেক সময় দীর্ঘদিন ব্যবহারে ফলে ফোনের সফটওয়্যারে সাময়িক সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার প্রভাব পড়ে নেটওয়ার্কে। তাই ফোন রিস্টার্ট করলে এ ধরনের সমস্যার সমাধান হতে পারে। রিস্টার্টের ফলে অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে চালু হয় এবং অনেক সময় সিগন্যাল–সংক্রান্ত ত্রুটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ঠিক হয়ে যায়।

৫. সিম কার্ডের সংযোগ পরীক্ষা

সব পদ্ধতি প্রয়োগের পরও যদি স্মার্টফোনে সিগন্যাল না পাওয়া যায়, তাহলে সিম কার্ড খুলে তা আবার লাগিয়ে দেখা যেতে পারে। কার্ডে ধুলা বা ময়লা জমে থাকলে তা নেটওয়ার্ক সংযোগে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সিম কার্ডে যদি কোনো ধরনের ক্ষয়ের চিহ্ন থাকে কিংবা সেটি পুরোনো হয়, তাহলে মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে নতুন সিম কার্ড সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হবে।

Commenti