মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের (পেন্টাগন) সামরিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের মাত্র ২৫ শতাংশই এখন মজুত আছে। মধ্যপ্রাচ্যে গত কয়েক মাসে ব্যাপকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করায় এই ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি এতটাই গুরুতর যে, ইউক্রেনে সর্বশেষ অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। খবর মেহের নিউজের।
প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত এতটাই কমে গেছে যে, তা যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সামরিক অভিযানের সক্ষমতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পেন্টাগন। এ কারণে উপ-প্রতিরক্ষা সচিব স্টিফেন ফাইনবার্গ অস্ত্র সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার অনুমোদন দেন এবং অস্ত্র কোথায় পাঠানো হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন।
তবে সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে নৈশভোজের আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি ইউক্রেনে আবারও কিছু অস্ত্র পাঠাবেন। যদিও সেগুলোর মধ্যে প্যাট্রিয়ট সিস্টেম থাকবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক ফোনালাপে ট্রাম্প জানান, অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের জন্য তিনি দায়ী নন। বরং তিনি মার্কিন অস্ত্র মজুত নিয়ে একটি পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন, তবে সরাসরি সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত তিনি নেননি।
ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, গত মাসে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল পেন্টাগনের গ্লোবাল মিউনিশন ট্র্যাকার রিপোর্ট। এই ট্র্যাকার অনুযায়ী, ইউক্রেনে সহায়তা পাঠানো শুরু হওয়ার পর থেকেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ গোলাবারুদের মজুত কয়েক বছর ধরে সংকটের নিচে রয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসন প্যাট্রিয়ট ও অন্যান্য অস্ত্র মজুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা শুরু করে। এরপর মধ্যপ্রাচ্যে হুথি বিদ্রোহ ও ইসরায়েলের সহায়তায় এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের হার বেড়ে গেলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
গত মাসে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ট্রাম্পের বোমা হামলার সিদ্ধান্তের পর কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে ইরানের পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৩০টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। এতে মজুত আরও কমে যায়।
এই সংকট মোকাবিলায় মার্কিন প্রতিরক্ষা নীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি এলব্রিজ কোলবি ‘সপারিশ স্মারকলিপি’ তৈরি করেন, যাতে অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য একাধিক বিকল্প তুলে ধরা হয় এবং তা উপ-প্রতিরক্ষা সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়।
