কাপাসিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনাসভা

تبصرے · 37 مناظر

একটি পাঠাগার মানেই হাজারো আলোর দীপ্তি। এটি শুধু বইয়ের সংগ্রহশালা নয়, মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান। প্রত্যন্ত গ্রাম

একটি পাঠাগার মানেই হাজারো আলোর দীপ্তি। এটি শুধু বইয়ের সংগ্রহশালা নয়, মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান। প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে গাজীপুরের বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগার। পাঠাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই এলাকায় এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। মোবাইল ও ইন্টারনেটের আসক্তি ছেড়ে বই নিয়ে মগ্ন থাকতে দেখা যায় কিছু বইপ্রেমী মানুষকে। বুক সেলফে সাজানো শত শত বই—যার যে বই পছন্দ, তারা তা নিয়ে পড়ছেন নিজের মতো করে। পড়া শেষে আবার বইগুলো যথাস্থানে রেখে চলে যাচ্ছেন। পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই দৃশ্য চোখে পড়ে সবার।

সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগার গড়ে তোলা হয়। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ছাড়াও গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো (বই) পৌঁছে দিচ্ছে বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগার। এছাড়াও পাঠাগার থেকে পছন্দের বই বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারেন পাঠকরা।

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার খিরাটী গ্রামে অবস্থিত বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগারের আয়োজনে ‘আলোকিত সমাজ গঠনে পাঠাগারের ভূমিকা’ -শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১২ জুলাই) পাঠাগারের অভ্যন্তরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কাপাসিয়া বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগারের সমন্বয়ক সৈয়দ আল মাসুদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মনোহরদী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, মনোহরদী সরকারি ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক এখলাস উদ্দিন, পাঠাগার সংলগ্ন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কামাল হোসেন, গড়বাড়ি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মাওলানা আজিজুল হক, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বেজা'র কর্মকর্তা মোঃ রাসেল, শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম, প্রবাসী মোঃ রিটন মিয়া, প্রবাসী ইমরান ফকির, প্রবাসী মোঃ আপেল মাহমুদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ আল মতিন, ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া, চরখিরাটি ইয়ুথ ক্লাবের মোঃ শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

মুসলিম উদ্দিন বলেন, ‘পাঠাগার শুধু বইয়ের সংগ্রহস্থল নয়, বরং জ্ঞান, চেতনা ও মানবিকতার আলো ছড়ানোর এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বই পড়লে আমরা আলোকিত হই, না পড়লে অন্ধকারে রই। ইতিমধ্যে  লক্ষ্য করছি, বসুন্ধরা শুভসংঘের এই পাঠাগারটি উদ্বোধনের পর থেকে এলাকার যুব সমাজ তথা শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ অবসর সময়ে এখানে এসে বই পড়ছে যা তাদের মানবিক বিকাশ ও উন্নয়নে সহায়ক হবে। পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার  লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। আমরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পাঠাগারটির সার্বিক উন্নয়নে ও পাঠকসংখ্যা বাড়াতে আমরাও বসুন্ধরা শুভসংঘের পাশে আছি।’

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একটি আলোকিত সমাজ গঠনে পাঠাগারের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রত্যেক স্কুল, কলেজ, মসজিদ-মন্দির, গ্রাম ও শহরে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা ও তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করলেই একটি জ্ঞানভিত্তিক, ন্যায়নিষ্ঠ ও মানবিক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন তারা

تبصرے