চীনের সুপার ড্যাম, ভারত-বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

Kommentarer · 55 Visningar

তিব্বতের মালভূমিতে ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর চীনের একটি বিশাল বাঁধ প্রকল্প (সুপার ড্যাম) ভারত ও বাংলাদেশে উদ্বে??

তিব্বতের মালভূমিতে ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর চীনের একটি বিশাল বাঁধ প্রকল্প (সুপার ড্যাম) ভারত ও বাংলাদেশে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। যদিও এটি বিশ্বের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী বাঁধ হতে পারে, তবে আশপাশের দেশগুলোর জন্য এর পরিবেশগত ও জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এই বাঁধটি চীনের বর্তমান বৃহত্তম বাঁধ, থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে তিনগুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ভারত আশঙ্কা করছে, বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিলে ভয়াবহ বন্যা এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি আটকে রাখলে তীব্র পানি সংকট দেখা দিতে পারে, যা বাংলাদেশের ওপরও প্রভাব ফেলবে।

চীনের হোহাই বিশ্ববিদ্যালয় ও পানি মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা অবশ্য ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছে। তারা বলছে, এ ধরনের বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং বর্ষায় বন্যার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে। ২০১৪ সাল থেকে জ্যাংমু ও জিয়াচা বাঁধের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শুকনো সময়ের পানির প্রবাহ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্ষাকালে পানির চাপ কমেছে।

গবেষকরা আরও জানিয়েছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর তাপমাত্রা ও পানির আচরণ পরিবর্তিত হচ্ছে। হিমবাহ গলে যাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে, এবং শীতকালে পানি ঠান্ডা ও গরমকালে বেশি গরম হয়ে উঠছে, যা মাছ ও জলজ প্রাণীর জীবনচক্রে সমস্যা সৃষ্টি করছে।

ইয়ারলুং সাংপো নদী পরিবেশ ও জলবায়ু গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষকরা এই নদী অববাহিকায় পরিবেশ-সমন্বিত পরিকল্পনা ও গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। ভারত ও বাংলাদেশের জন্য এই বাঁধ প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের পানির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। তাই দুই দেশকেই সতর্ক ও কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ইয়ারলুং সাংপো চীনের কুইংহাই-তিব্বত মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। ফলে এই নদীর ওপর চীনের যেকোনো কার্যক্রম ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। গবেষকরা আশা করেন, এ ধরনের গবেষণা নদী ব্যবস্থাপনার টেকসই কৌশল নির্ধারণে এবং পানিসম্পদের যথাযথ ব্যবহারে সহায়ক হবে।

Kommentarer