বিএনপি পাকিস্তানপন্থীদের পুনর্বাসন করেনি, আ. লীগকে প্রশ্নই ওঠে না: রুমিন ফারহানা

הערות · 39 צפיות

বিএনপি কোনোদিনও পাকিস্তানপন্থিদের পুনর্বাসন করেনি, আর আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য

বিএনপি কোনোদিনও পাকিস্তানপন্থিদের পুনর্বাসন করেনি, আর আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘আজকে যারা এনসিপির খুব প্রমিনেন্ট মুখ, তারা কিন্তু একসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ হয়ে রং গুটিয়ে ভিন্ন রঙে রাজনীতি করে ১৫ বছর টিকেছিল। বিএনপি মুখে এক, কাজে আরেক ছিল না। মুখে বিএনপি, কাজে আওয়ামী লীগ- এটা বিএনপি কোনোদিনও করেনি। সুতরাং যত নির্যাতন বলেন, যত মামলা-হামলা বলেন, যত রকম নিবর্তনমূলক অত্যাচার বলেন- এটা ১৫ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকেই ভোগ করতে হয়েছে। সুতরাং বিএনপি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাইছে- এই কথাটি একেবারেই অসত্য কথা।

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য, বিভেদ ও বাদানুবাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের বিভেদ বা বাদানুবাদ তো স্বাভাবিক, রাজনীতিতে থাকবেই। এইটুকু যদি না থাকে, তাহলে তো বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল মিলে একটি রাজনৈতিক দল হতো। যেহেতু দলগুলো আলাদা, আলাদাভাবে নিজেদের রাজনৈতিক আদর্শ-মতাদর্শ অনুযায়ী রাজনীতি করছে, যেহেতু দলগুলো প্রত্যেকেই যার যার মতো করে নির্বাচনে অংশ নেবে, তাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পরকে কিছুটা খোঁচা দিয়ে, কিছুটা আক্রমণ করে কথা বলা- এটা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে দেখতে হবে, সেই কথা বা সেই আক্রমণ কতটা সত্যের উপর ভিত্তি করে, সেই কথা বা আক্রমণ কতটুকু সভ্যতা, ভদ্রতা এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে করছেন। সেই কথার মধ্যে দিয়ে কোনো মিথ্যা প্রপাগান্ডাকে প্রমোট করছেন কি না- এই বিষয়গুলো। এর বাইরে আমি মনে করি, রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতভিন্নতা থাকবে এবং পরস্পরকে হয়তো কিছুটা খোঁচা দিয়েও কথা বলবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কিছু বললে বিএনপি কিন্তু সরাসারি বলছে, কোন দলকে ইন্ডিকেট করছে, কোন দলকে সে দোষ দিচ্ছে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উদাহরণস্বরূপ এনসিপি বলছে, ‘একটি দল’ একসময় পাকিস্তানপন্থিদেরকে পুনর্বাসন করেছে, এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। আবার জামায়াতে ইসলামী থেকে বলা হচ্ছে যে মিটফোর্ডের ঘটনার পরে ‘একটি দলকে’ জনগণ লাল কার্ড দেখিয়েছে। উনারা আসলে কাদেরকে বুঝাচ্ছে? যেহেতু উনি কোনো স্পেসিফিক দলের কথা বলেননি, আমি যদি উনার এই বক্তব্যকে আলোচনা করি, ডেফিনেটলি বাংলাদেশের মানুষ মিটফোর্ডের ঘটনায় একটি গোষ্ঠীকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। সেই গোষ্ঠী হচ্ছে যারা সরকারের সঙ্গে যুক্ত। কারণ এই সময়ে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এই জায়গায় এসে ঠেকবার পেছনে সরকারের একটি বিরাট দায় আছে।’

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর দিয়ে একজন মানুষকে হত্যা করা হলো মিটফোর্ডের মতো ব্যস্ত এলাকায়! সেখান থেকে কয়েক গজের মধ্যে আনসার ক্যাম্প আছে, একটা মানুষ এগিয়ে এলো না। ভিডিও করল দূর থেকে। পরেরদিন যখন গণমাধ্যম এলাকায় গেল, একজন প্রত্যক্ষদর্শীও মুখ খুলল না। ভিডিওতে যাকে দেখা গেল, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বললেন যে কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে বলা হলো, পুলিশ এজাহার বদলেছে। এই যে এতগুলো দায় তো সরকারকে নিতে হবে, তাই না? তাই এই সরকারকে ডেফিনেটলি বাংলাদেশের মানুষ লাল কার্ড দেখিয়েছে।’

הערות