লঙ্কা জয়ের রেশ নিয়ে এবার মিরপুরে বাংলাদেশের সামনে পাকিস্তান

הערות · 16 צפיות

বলুন তো, পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ কয়টি টি–টোয়েন্টি জিতেছে? ২০১৫ সালের ওই জয়টার কথাই হয়তো প্রথমে মনে পড়ছে ?

বলুন তো, পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ কয়টি টি–টোয়েন্টি জিতেছে? ২০১৫ সালের ওই জয়টার কথাই হয়তো প্রথমে মনে পড়ছে আপনার। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে প্রথম জয়—মনে তো থাকবেই। না, এটাই একমাত্র কারণ নয়। আর কী?

তা জানতে কদিন পরে চলে যেতে হবে। ওই ম্যাচের পর খুলনায় প্রথম টেস্ট। যেটির আগে পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনিস বিস্ময়াবিষ্ট কণ্ঠে বলছেন, ‘বাংলাদেশ ৪–পাকিস্তান ০, ভাবা যায়!’

এক জয়ে কীভাবে ৪–০ হয়? হয় না। হয়েছিল, কারণ ওই টি–টোয়েন্টি ম্যাচটার আগেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে পাকিস্তান। আরেকটি কারণেও ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিলের ওই টি–টোয়েন্টি ম্যাচটাকে হয়তো মনে রেখেছেন আপনি। ওই ম্যাচেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের আবির্ভাব।

বছরখানেক পর দুই দলের পরের টি–টোয়েন্টির শেষও বাংলাদেশের জয়ে। সেটি এশিয়া কাপ, পাকিস্তানের আগেই শ্রীলঙ্কাকে হারানো বাংলাদেশ যেটির ফাইনাল খেলেছিল। এই দুটি জয়ই যে মাঠে, সেই মিরপুরেই আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ–পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ। লেখার শুরুতে করা প্রশ্নটার উত্তর দিয়ে যদি এখন বলি, টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ৩টি; বাংলাদেশের তৃতীয় জয়টা হয়তো আপনি মনেই করতে পারবেন না।

না পারলে স্মৃতিশক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় হয়ে যাওয়াটা ঠিক হবে না। আপনার দলে আরও অনেককেই পাবেন। কারণ, বাংলাদেশের তৃতীয় জয়টি কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টে নয়, এশিয়ান গেমসে। ২০২৩ হাংঝুতে পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশও জোড়াতালি দেওয়া একটা দল পাঠিয়েছিল। তখন যে ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলছে। বৃষ্টির কারণে ৫ ওভারে নেমে আসা হাংঝুর সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ। কেউ মনে না রাখলে কী হবে, সেই ম্যাচের তো আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টির স্বীকৃতি আছে।

যেভাবে বাংলাদেশের জয়ের বৃত্তান্ত দেওয়া হচ্ছে, তাতে মনে হতেই পারে, পাকিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রেকর্ড বোধ হয় দারুণ কিছু। আসলে যা ১৯–৩! টানা দুই জয়ের আগে টানা ৭টিতে হার, এশিয়ান গেমসে ওই জয়টার কারণে পরের ১৩ ম্যাচের ১২টিতে। গত মে–জুনে পাকিস্তানে দুই দলের সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি সিরিজেও বাংলাদেশের ঘরে শূন্য। প্রথম দুই ম্যাচে ৩৭ ও ৫৭ রানে হারের চেয়েও শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটে হারটা বেশি বুকে বেজেছিল। কারণ, ওই ম্যাচে বাংলাদেশ করেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৯৬ রান।

הערות