মিরপুর ডিওএইচএস এর একটি বাসায় ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক এক লেফটেন্যান্ট ও এক করপোরাল সহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। রাতে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রোববার (২০ জুলাই) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মিরপুর ডিওএইচএসের ১১ নম্বর সড়কের একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ির যে ফ্ল্যাটটিতে ডাকাতি হয়েছে, সেটার মালিক একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর।
পুলিশ জানিয়েছে, মিরপুর ডিওএইচএস-এর ১১ নম্বর সড়কের ওই বাসায় পাঁচ ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে প্রবেশ করে ডাকাতি করে। তারা বাসার মূল্যবান জিনিসপত্র ব্যাগে ভরে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় স্থানীয় বাসিন্দা হারুনুর রশীদ বিষয়টি সন্দেহজনক মনে করে মোটরসাইকেলে ডাকাত দলকে ধাওয়া করেন এবং 'ডাকাত ডাকাত' বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে মিরপুর ১২ নম্বরের এনডিসি চেকপোস্টে গিয়ে ডাকাতদের বহনকারী গাড়িটি আটক করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান জানান, ডাকাতির অভিযোগে চারজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে এবং তাদের বিস্তারিত পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট ইফতেখার ও করপোরাল মুকুল রয়েছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, করপোরাল মুকুল শনিবার মিরপুর ১০ নম্বরে একটি চায়ের দোকানে হারুনুর রশীদের সঙ্গে পরিচিত হন। হারুনুর রশীদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেন। পরিচিত হওয়ার পর একটি অস্ত্র থাকার তথ্য দিয়ে হারুনুর রশীদকে ওই বাসায় নিয়ে যান করপোরাল মুকুল।
আটকরা এখন পল্লবী থানায় রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
לחפש
פוסטים פופולריים