‘এই পরিস্থিতি কারও স্বার্থেই নয়, জেরুজালেমেরও না’

टिप्पणियाँ · 8 विचारों

সিরিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে তীব্র সমালোচনা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন কূটনীতিক জেমস জেফ্রি। তিনি সত?

সিরিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে তীব্র সমালোচনা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন কূটনীতিক জেমস জেফ্রি। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলের বর্তমান কৌশল গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিপন্ন করছে এবং সিরিয়ার ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা হুমকির মুখে ফেলছে।

তুরস্কে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত (২০০৮-২০১০) এবং সিরিয়া বিষয়ক সাবেক বিশেষ দূত (২০১৮-২০২০) জেফ্রি একান্ত সাক্ষাৎকারে আনাদোলুকে বলেন, ‘ইসরায়েল কী করতে চায়, সেটাই এখন প্রশ্ন। তারা ইরানি উপস্থিতির বিরোধী, ১৪ বছর ধরে যুদ্ধে লিপ্ত। কিন্তু বর্তমানে তারা সরাসরি সিরিয়া সরকারের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’

তিনি জানান, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্রুজ, পশ্চিমাঞ্চলীয় আলাওয়ি ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুর্দিদের মধ্যে স্বায়ত্তশাসনের প্রবণতা বাড়ছে, যা দেশটিকে আবারও গৃহযুদ্ধে ঠেলে দিতে পারে। এতে বিদেশি হস্তক্ষেপ ও ইরানি প্রভাব বিস্তারের পথও খুলে যেতে পারে।

‘এই পরিস্থিতি কারও স্বার্থেই নয়—জেরুজালেমেরও না,’ মন্তব্য করেন জেফ্রি।

তিনি বলেন, ইসরায়েলকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক গড়ে তুলবে।

আসাদের পতন ও নতুন প্রশাসন

গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের সরকার পতনের পর সিরিয়ায় গঠিত হয়েছে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন। প্রায় ২৫ বছরের শাসন শেষে আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে যান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আহমাদ আল-শারাআকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তবে ১৩ জুলাই সুইদায় বেদুইন আরব ও সশস্ত্র দ্রুজ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়।

ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা দ্রুজ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্যই এই হামলা চালিয়েছে। কিন্তু সিরিয়ার অভ্যন্তরের বেশিরভাগ দ্রুজ নেতা বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

কুর্দিদের বিষয়ে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি

জেফ্রি আরও জানান, সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ও কুর্দি গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করছে। তিনি বলেন, ‘উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং নিজস্ব সেনাবাহিনী পুরো দেশের ঐক্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।’

এতে তুরস্কের নিরাপত্তা উদ্বেগও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। বিশেষ করে যখন পিকেকে গোষ্ঠী অস্ত্র পরিত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে এবং তুরস্কের সঙ্গে পুনর্মিলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

জেফ্রি বলেন, ‘সিরিয়ায় এই ইস্যু যদি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান না হয়, তবে যেটা তুর্কি কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘‘অপরিবর্তনীয়’’—এই শব্দটাই বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।’

তিনি যোগ করেন, ‘কুর্দিদের অনেকেই পিকেকের সদস্য না হলেও, পিকেকের ঘনিষ্ঠ অনেকেই মনে করে, এই দ্বন্দ্ব আর টিকিয়ে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

এ বছরের মে মাসে পিকেকে নিজেদের বিলুপ্তির ঘোষণা দেয়। ফেব্রুয়ারিতে সংগঠনের প্রধান আবদুল্লাহ ওজালান সশস্ত্র কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানান। পরে ১১ জুলাই ইরাকের সুলাইমানিয়ায় ৩০ জন পিকেকে সদস্য আত্মসমর্পণ করে আগুনে অস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে বিদায় জানান সশস্ত্র সংগ্রামকে।

टिप्पणियाँ
खोज