পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য জরুরি নির্দেশনা

Kommentarer · 1 Visninger

পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। নির্দেশনায় বলা

পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পদোন্নতি বা অন্য কোনো বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অপ্রয়োজনীয় তদবির থেকে তারা যেন বিরত থাকেন।

জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমানের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত কতিপয় সদস্য অফিস চলাকালীন সময়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই কর্মস্থল ছেড়ে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে প্রবেশ করছেন।

নিজেদের পদোন্নতি-পদায়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এই পুলিশ সদস্যরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নানাভাবে তদবির করছেন। এদের তদবিরের কারণে বিভাগীয় মামলাসহ পুলিশসংক্রান্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। পুলিশের এই সদস্যরা নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের বাইরেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তদবির করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আবার ‘রুলস অব বিজনেস’ অমান্য করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এড়িয়ে পুলিশ অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠিও পাঠানো হচ্ছে।
সোমবার (২১ জুলাই) জারি করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত কিছু সদস্য অফিস চলার সময়ে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই কর্মস্থল ছেড়ে মন্ত্রণালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে বিভিন্ন ধরনের তদবির করছেন, যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। তাদের এ ধরনের তদবিরের কারণে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিব্রত হচ্ছেন। পাশাপাশি দৈনন্দিন সরকারি কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিরুৎসাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া পুলিশ অধিদপ্তর থেকে কিছু বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে চিঠি পাঠানো হয়। অন্যদিকে পুলিশ অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিভিন্ন চিঠিতে অসম্পূর্ণ প্রস্তাবও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় অবহিত না থাকায় পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে নানা ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হয় ৷ এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত জরুরি নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো—

ক) নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।

খ) পদোন্নতি বা অন্য কোনো বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অপ্রয়োজনীয় তদবির থেকে বিরত থাকতে হবে।

গ) যথাসময়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে।

ঘ) বহিঃবাংলাদেশ ছুটির ক্ষেত্রে এতদসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক প্রেরণ করতে হবে।

ঙ) চিকিৎসাজনিত বহিঃবাংলাদেশ ছুটির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের প্রত্যয়ন ও চিকিৎসা প্রতিবেদন যাচাইপূর্বক প্রেরণ করতে হবে।

চ) আন্তঃমন্ত্রণালয় যোগাযোগ/পত্র প্রেরণের ক্ষেত্রে ‘রুলস অব বিজনেস’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

ছ) প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্তৃক নিজ নিজ জেমস (GEMS) আইডিতে লগইনপূর্বক তথ্য হালনাগাদ রাখতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন এবং এ বিষয়ে সদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Kommentarer