'তাদের শেকড় অনেক গভীরে', চাঁদাবাজিতে আটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতে

Kommentarer · 28 Visninger

'তাদের শেকড় অনেক গভীরে', চাঁদাবাজিতে আটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে ফেসবুক পোস্টে সাব?

রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ পাঁচজন আটক হওয়ার পর এ ঘটনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

 

মিজ ফাতেমা লিখেছেন, এ ঘটনায় অনেকে আশচর্য হওয়ার অভিনয় করছে, তিনিই সব থেকে কম আশ্চর্য হয়েছেন এবং এই আটকদের শেকড় অনেক গভীরে।

 

গ্রেফতারকৃতদের ছবি সংবলিত একটি সংবাদের কার্ড শেয়ার করে এ কথা লিখেছেন উমামা ফাতেমা।

 

তিনি লিখেছেন, “এই চাঁদাবাজির খবরে আশেপাশের সবাই এত অবাক হওয়ার ভান করছেন, বিষয়টা কিছুটা হাস্যকর বটে।

 

ইশ! মানুষ কত নিঃষ্পাপ! সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো তারা আবিষ্কার করেছেন এই ছেলেগুলো আজ কিভাবে চাঁদাবাজি করল?! অত্যন্ত দুঃখিত বন্ধুরা, বলতে হবে এই প্রথম কোনো চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে ধরা খেল। ঠিকমতো খোঁজ নিলে বুঝবেন, এদের শেকড় অনেক গভীরে। ”

 

গত ২৭শে জুন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র পদ থেকে সরে দাঁড়ান উমামা ফাতেমা।

 

পোস্টে তিনি লিখেছেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ৫ জনের চাঁদাবাজির খবর শুনে আমার পরিচিত ব্যক্তিবর্গ এতটাই আশ্বার্যান্বিত হওয়ার অভিনয় করছেন যে, আমার মনে হচ্ছে আমিই সব থেকে কম আশ্বর্য হয়েছি। এই ছেলেগুলাকে তো নেতাদের পেছনে প্রটোকল দিতে দেখা গেছে এতদিন যাবৎ।”

 

এই ব্যক্তিরা সচিবালয় থেকে শুরু করে মিছিল-মিটিং, মারামারি সব জায়গাতেই সমন্বয়কদের ডান হাত, বাম হাত হিসেবে নির্বিঘ্নে প্রটোকল দিয়ে গেছে বলে লিখেছেন মিজ ফাতেমা।

 

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, “গুলশান বনানী গ্যাং কালচারের অজস্র অভিযোগ অভ্যন্তরীনভাবে তাদের বিরুদ্ধে ছিল।”

 

ছবিতে থাকা গ্রেফতার রিয়াদ নামের ব্যক্তি গত ডিসেম্বর মাসে রূপায়ন টাওয়ারে মিজ ফাতেমার সামনে অত্যন্ত উশৃঙ্খল আচরণ করেছিল উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, “ আমরা মেয়েরা তাকে থামানোর চেষ্টা করলে আমাদের উপর পাল্টা চড়াও হয়। ঐ ঘটনার পর ছেলেটার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে হুমকি, মারামারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে।”

 

মিজ ফাতেমা এ বিষয়ে জেনে তখন মোটেও অবাক হননি বলে উল্লেখ করেছেন।

 

“কারণ ততদিনে বৈষম্যবিরোধীতে এই ধরনের মানুষজনের আনাগোনাই সর্বত্র টের পাওয়া যেত। ঠিকই তারা রূপায়ন টাওয়ারে অবাধে আসা যাওয়া করত” ফেসবুকে লিখেছেন সংগঠনটির সাবেক এই মুখপাত্র।

 

এই প্ল্যাটফর্মকে নষ্ট করা হচ্ছে এমন অনুযোগ করেছেন তিনি।

 

“কারো দুর্নীতি বা অসততার ব্যাপারে অভিযোগ জানালে উত্তরে পিনড্রপ সাইলেন্স উপহার পেতে হবে। আর আমি চোখের সামনে দেখতাম এসব লোকজনই কিভাবে দিনেশেষে এক্সেস করে নেয়। আজকে এত মাস পর এই প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকালে বলার ভাষা পাইনা কোনো?! যে যেভাবে পারছে এই প্ল্যাটফর্মকে নষ্ট করেছে ” লিখেছেন মিজ ফাতেমা।

Kommentarer