জামায়াতের সমাবেশে কত খরচ হয়েছে, জানালেন দলটির আমির

التعليقات · 31 الآراء

গত ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক সমাবেশের ব্যয় নিয়ে জনমনে

রোকন সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, "আমাদের ঢাকা এত বড় একটা সমাবেশ হয়ে গেল, আমরা কি কাউকে চাঁদা তুলতে বলেছি? বলি নাই। আমরা নিজেরাও কারও কাছে চাঁদা চাই নাই। এখন কেউ বিশ্লেষণ করে একশ, কেউ দুইশ কোটি। আপনারা শুনবেন কত খরচ হয়েছে। অবশ্যই রোকন হিসেবে আপনাদের শোনার অধিকার রয়েছে। আমার ধারণা ছিল, পৌনে তিন কোটিতে আটকায়ে ফেলতে পারব। একটু এদিক-সেদিক হবে, এটি সাড়ে তিন কোটির বেশি হয়নি আলহামদুলিল্লাহ। এখন যার যে বিশ্লেষণ করার করবে।"

 

সম্মেলনে জামায়াত আমির আরও বলেন, "বিগত ৫৪ বছরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতিও অবিচার করেনি, জুলুম করেনি। জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাস করেনি, করবেও না। জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। যারা দলই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সার্বিক পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।"

এর আগে এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ সমাবেশের ব্যয় সম্পর্কে বলেন, "সমাবেশে আমাদের লোকজন কিভাবে এসেছে তা সবাই দেখেছে। তারা কিভাবে নিজের টাকা খরচ করে এসেছে তা মিডিয়াতেই প্রচার হয়েছে। তারা বাড়ি থেকে কিভাবে খাবার নিয়ে এসেছে, চিড়া ভিজিয়ে খাচ্ছে কলা দিয়ে, তা সবাই দেখেছে। আমি যদি আমার বাউফলের কথা বলি, সেখান থেকে আমার কয়েক হাজার লোক এসেছে লঞ্চে করে। আমি সমাবেশের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করার কারণে তাদের কোনো খোঁজ নিতে পারিনাই। আমার একজন লোকেরও কোনো দায়িত্ব নিতে হয় নাই।"

ড. মাসুদ আরও যোগ করেন, "টেলিভিশনে দেখলাম, এক বৃদ্ধ লোক চিড়া আর কলা খাচ্ছেন, মিডিয়ার এক কর্মী তাকে প্রশ্ন করলেন এই চিড়া-কলা কে দিয়েছে, তিনি বললেন আমার বউ দিয়েছে, আমি জামায়াতের ওপর নির্ভর করে এই সমাবেশে আসিনি। আমি জামায়াতের কাজগুলোকে পছন্দ করে, তাদের দাবির সাথে একাত্মতা জানাতে সমাবেশে এসেছি।"

التعليقات