এ নিয়ে গত কয়েক দিনে উন্নত সাত দেশের জোট জি-৭-এর তিন সদস্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানালো। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা অসহনীয় এবং দ্রুত এর অবনতি হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার রয়েছে বলে জানান কার্নি।
তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে। এর মধ্যে রয়েছে, আগামী বছরে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে হামাসকে ছাড়া নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। সেই সঙ্গে এ ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
কানাডার এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি হামাসকে পুরস্কৃত করা।
এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানান। এরপর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও জানান, ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। শেষমেশ একই কথা জানালো কানাডা।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যদেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ইত্তেফাক/এসআর