আর বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে গিয়েই বিভিন্ন দেশ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বা দিয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াবে। যুক্তরাষ্ট্রও দেশভেদে নানা রকম শর্ত দিয়েছে।
বাংলাদেশও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেশটি থেকে আমদানি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। ইতিমধ্যে গম ও তুলা আমদানি এবং ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে চীনের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তা কেনার শর্ত ছিল। এ ধরনের স্পর্শকাতর শর্তের ব্যাপারে শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কী অবস্থান নিয়েছে, চুক্তিতে কী রাখা হয়েছে- তাএখনো স্পষ্ট করা হয়নি।
অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলছিলেন, "অন্য দেশগুলোও এমন প্রস্তাব দিয়েছে যে, এটা আমদানি বাড়াবো, এটা কিনবো। আমরাও তাই করেছি। যদিও আমরা সব বিস্তারিত জানি না। কিন্তু সামগ্রিকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো বলে মনে হয় না। কতটা লাভ হবে, সেটা প্রশ্ন।"
এদিকে, খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বিবিসিকে বলছিলেন, "ট্রেড নেগোসিয়েশনের বাইরে এখানে অন্যান্য নেগোসিয়েশনও হয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে।"
"বিনিয়োগ সংক্রান্ত হতে পারে, অশুল্ক বাধা নিয়ে হতে পারে, কৌশলগত পণ্য ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে হতে পারে...সরকারের উচিৎ পূর্ণাঙ্গ চুক্তিটি প্রকাশ করা।
" কূটনৈতিক বিষয়গুলো এখানে একেবারেই পরিষ্কার না" জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কী কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেগুলো প্রকাশ করা প্রয়োজন।
কারণ, "বাংলাদেশের বাণিজ্য একক দেশ নির্ভর নয়। সুতরাং, চুক্তিতে বাংলাদেশের অন্যান্য বাণিজ্য অংশীজনের সাথে থাকা বাণিজ্য স্বার্থ, বিনিয়োগ স্বার্থ, ঋণ স্বার্থ বা রেমিট্যান্স সংক্রান্ত স্বার্থের বিষয়ে বড় কোনো ছাড়ের বিষয় থাকলে তা জানানো দরকার" বলেন গোলাম মোয়াজ্জেম।