অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শুল্ক কমানোর চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি এটিকে "সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য" বলে উল্লেখ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা না হলে পহেলা অগাস্ট থেকে বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করার কথা বলা হয়েছিল। এখন সেই শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা সম্ভব হলো।
কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারতের পণ্যে বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্কআরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারত ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের বড় প্রতিদ্বন্দ্বি। কিন্তু ওই দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশের প্রায় সমতুল্য, অর্থাৎ গড়ে ১৯ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক হার ধার্য করা হয়েছে।
এই বিষটিকেই ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।
তিনি মনে করছেন, তৈরি পোশাক থেকে শুরু করে চামড়া শিল্প, সব খাতের বাজার বিস্তৃত করার এটাই সুযোগ। কারণ ভারতের জন্য শুল্ক হার বেশি হওয়ার ফলে বায়াররা গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে সে দেশে বাণিজ্য করতে বেশি আগ্রহী হবে না।
আর পাকিস্তানের জন্য শুল্ক হার ১৯ শতাংশ হলেও "এক শতাংশের সুবিধা পাওয়ার জন্য বায়াররা পাকিস্তানে যাবে না। কারণ পাকিস্তানের সেই সরবরাহ ক্যাপাসিটি নেই। পোশাক শিল্প প্রমাণিত শিল্প। এই এক শতাংশের জন্য বাংলাদেশের মতো নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী বাদ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানের কাছে যাবে বলে মনে হয় না," বলছিলেন জাহিদ হোসেন।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলও মনে করেন, গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কআরোপের আগে যেসব দেশ বাংলাদেশের প্রতিযোগী ছিল, প্রতিযোগী হিসাবে এখনো তারাই আছে।
"পাল্টা শুল্কের আগে সবাই সমান ছিল, এখনও সবাই সেখানে আছে। শুধু ভারতের সাথে পার্থক্য আছে। কিন্তু ভারত বাড়তি ব্যবসা খুব বেশি নিতে পারবে না। আর চীনের ব্যবসা বাংলাদেশের দিকেই থাকবে। সামগ্রিক চিন্তা করলে এখানে নেগেটিভ হওয়ার সুযোগ নেই" বলেন মহিউদ্দিন রুবেল।