মার্কিন শুল্ক কিছুটা কমলো, বাংলাদেশের লাভ কতটা

نظرات · 6 بازدیدها

শেষপর্যন্ত তৃতীয় দফার আলোচনায় মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ থেকে ক?

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এটিকে তাদের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করছে। অর্থনীতিবিদদেরও অনেকে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক বলেই মনে করছেন।

 

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের পরিবর্তন বা শুল্ক কমানোর পেছনে বাংলাদেশকে কতটা ছাড় দিতে হয়েছে, বিনিময়ের বিষয় কী হতে পারে, এসব প্রশ্নে কোনো পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

 

অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর কৌশলের ক্ষেত্রে বাণিজ্যের পাশাপাশি ভূ-রাজনীতি ও বৈশ্বিক চিন্তাও ছিল। বাণিজ্যের বাইরের বিষয়গুলোয় বাংলাদেশ কিভাবে সামলেছে বা কী অবস্থান তুলে ধরেছে, সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আগের দুই দফা আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে 'গোপন চুক্তি' করার অভিযোগ উঠেছিল। সরকারের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা অবশ্য সমঝোতার স্বার্থে আলোচনার অনেক বিষয় গোপন রাখার কথা বলেছিলেন।সে কারণে এখন প্রশ্ন উঠছে, শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে শেষপর্যন্ত সমঝোতা হলো কিসের ভিত্তিতে, বাংলাদেশ ছাড় দিলো কোথায়?

 

তবে শুল্ক কমার বিষয়টি গার্মেন্টস শিল্পসহ ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তির বলে অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন।

 

কারণ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া সব পণ্যের ওপর আগে থেকেই গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এর সঙ্গে পাল্টা ৩৫ শতাংশ শুল্ক যোগ হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে বড় অংকের অর্থ্যাৎ মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক গুনতে হতো বাংলাদেশকে।

 

সেখানে এখন পুরাতন ১৫ শতাংশ এবং নতুন ২০ শতাংশ মিলিয়ে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যে মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।

نظرات