অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।
টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।
এর আগে ভারতের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন করুন নায়ার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন সাই সুদর্শন, ৩৮। দ্বিতীয় দিনে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জশ টাং ও গাস অ্যাটকিনসন। সব মিলিয়ে অ্যাটকিনসনের শিকার ৩৩ রানে ৫ উইকেট। ওভালে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের কোনো পেসারের এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং। সেরা বোলিং গাবি অ্যালেনের, ৮০ রানে ৭ উইকেট। অ্যাটকিনসনের অভিষেকের পর তাঁর চেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট নিতে পারেননি কোনো বোলার। তাঁর সমান ৬০ উইকেট নিয়েছেন বুমরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত ২২৪ ও ১৮ ওভারে ৭৫/২ (জয়সোয়াল ৫১*, সুদর্শন ১১, রাহুল ৭, আকাশ ৪*; অ্যাটকিনসন ১/২৬, টাং ১/২৫)।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫১.২ ওভারে ২৪৭ (ক্রলি ৬৪, ব্রুক ৪৮*, ডাকেট ৪৩; কৃষ্ণা ৪/৬০, সিরাজ ৪/৮৬)।