শুল্ক কমলেও চ্যালেঞ্জ কোথায়?

Komentar · 3 Tampilan

১৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর বিষয়টি কিভাবে ব্যবহার করা হবে অর্থ্যাৎ এর বাস্তবায়ন হবে কিভাবে-এনিয়ে আশঙ্কার কথা বলছেন

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, "বাড়তি শুল্ক কারা কতটুকু বহন করছে, তা দেখবার বিষয়। এটি উদ্যোক্তাদের ওপর এলে মুনাফা কিছুটা কমে যাবে।"

 

বিজিএমইএ'র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের বক্তব্য হচ্ছে, পারস্পরিক শুল্ক হার তুলনামূলকভাবে কমলেও খুচরা বাজারে দাম বেড়ে যাচ্ছে।

 

এছাড়া, তিনি মনে করেন, "এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বিদ্যুৎ গ্যাস, জ্বালানি, ব্যাংক, লজিস্টিক, পোর্ট, এনবিএআর-এর অনেক কিছু উন্নত করতে হবে।"

 

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসানও এই বিষয়গুলোকে সমস্যা মনে করেন।

 

তিনি বলেন, "গ্যাসের অভাবে ফ্যাক্টরি চলে না। উৎপাদনে দেরি হলে সময় মতো অর্ডার দেওয়া হয় না। তখন প্রোডাক্ট বিমানে পাঠাতে হয় বা ডিসকাউন্ট দিতে হয়। আবার দেখা যায়, বন্দর থেকে মালামাল জাহাজে ওঠাতে এক সপ্তাহ লেগে যায়। এনবিআর থেকে ডকুমেন্টস ক্লিয়ার হয়না। বন্দরের অদক্ষতার কারণেও অনেকসময় গতি মন্থর হয়।"

 

গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে যে প্রায়ই রাস্তাঘাট বন্ধ করে অবরোধ করা হয়, সে বিষয়টির কথা বলেন তিনি। তার মতে, এসব ঘটনা "সরবরাহ চেইনকে বিঘ্নিত করছে।"

 

এছাড়া, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শ্রমিক অসন্তোষও বড় একটি বাধা বলে মনে করেন তিনি।

 

"আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বদনাম আছে যে বাংলাদেশ ন্যুনতম মজুরি দিয়ে কাজ করানো হয়। এই ইমেজটা কাটাতে হবে। কারণ ইউরোপিয়ান মার্কেটের কনজিউমাররা সেন্সিটিভ। তারা অনেকসময় বলে যে 'মেড ইন বাংলাদেশ' দেখলে পণ্য কিনো না," বলছিলেন জাহিদ হোসেন।

 

"বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সাপ্লাইয়ে অনেক সমস্যা। ডেলিভারি ঠিকমতো দিচ্ছে কিনা, নির্ভর করছে ফ্যাক্টরি ঠিকভাবে চলছে কিনা, তার ওপর।

 

"শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রাখলে ফ্যাক্টরি চলবে না এবং শ্রমিক অসন্তোষের সুযোগ অনেকেই নেয়। কারণ, বাংলাদেশকে অস্থির করতে পারলে বায়াররা বাংলাদেশ থেকে অন্য কোথাও চলে যাবে," যোগ করেন এই অর্থনীতিবিদ।

 

যদিও তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, জাতীয় কাঠামো অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর মজুরি বাড়ানো হয়।

 

তিনি উল্লেখ করেন, এখানে 'ট্রান্সশিপমেন্ট ট্যারিফ' রয়েছে। অর্থাৎ, কোনো দেশ যখন অন্য দেশ থেকে কাঁচামাল এনে তার নিজের দেশে পণ্য উৎপাদন করে মার্কিন বাজারে রপ্তানি করে, তাহলে সেগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৪০ শতাংশ ট্রান্সশিপমেন্ট ট্যারিফ আরোপ করবে।

 

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এই বিষয়টিতে জোর দেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের অনেক পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল চীন থেকে আসে। কিন্তু চীন থেকে পণ্য আমদানি করতে হলে ৩৫ শতাংশের পাশাপাশি ওই ট্রান্সশিপমেন্ট ট্যারিফও বাংলাদেশকে দিতে হবে।"

 

"ট্রান্সশিপমেন্ট ট্যারিফ আরোপ হলে প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় চাপ পড়বে," মত তার।

Komentar