এশিয়া কাপের এখনো মাস দেড়েক বাকি। কিন্তু এ সময়ে বাংলাদেশের কোনো সিরিজ নেই। টানা ম্যাচ খেলার ধকল সামলে নিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা প্রথম ১০-১২ দিন কাটাবেন বিশ্রামে। কিন্তু এশিয়া কাপের আগে এত লম্বা বিরতি কি টানা দুই সিরিজ জিতে পাওয়া ছন্দ ধরে রাখার পথেও বাধা হবে?
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর অধিনায়ক লিটন দাসও বলেছিলেন, একটি সিরিজ আয়োজন করা গেলে ভালো হয় তাঁদের জন্য। বিসিবি এখন ওই চেষ্টা করছে বলে কাল প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন। কোনো দলের কথা যদিও তখন আলাদা করে বলেননি।
আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সম্ভাব্য দুটি দলের নাম বলেছেন নাজমুল, ‘বড় কোনো দেশ এ মুহূর্তে পাওয়া যাবে না। কারণ, তারা তাদের প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত আছে। আমাদের মনে হয় অন্য কোনো দেশের সঙ্গে এটা হতে পারে। নেদারল্যান্ডস ও নেপাল হতে পারে কিংবা এমন কোনো দেশ হতে পারে। এ মুহূর্তে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
আগস্টে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে ভারত সরকারের সবুজসংকেত না পাওয়ায় সিরিজটি পিছিয়ে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে নেওয়া হয়েছে। ফাঁকা এ সময়ে কি ঘরের মাঠেই সিরিজ খেলার ভাবনা রয়েছে বিসিবির?

উত্তরে নাজমূল আবেদীন বলেছেন, ‘সেটাই হয়তো আমরা চেষ্টা করব। যদি সম্ভব হয়, সেটাই চেষ্টা করব।’ শেষ পর্যন্ত বিদেশি কোনো দল না পেলে ‘এ’ দল বা এইচপির সঙ্গে সিরিজ খেলার কথা রয়েছে জাতীয় দলের। তিন সপ্তাহের একটি প্রস্তুতি ক্যাম্পও করবে তারা।
এশিয়া কাপের সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি জানিয়েছেন, ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই টুর্নামেন্ট হবে। বাংলাদেশসহ যেখানে আটটি দল অংশ নেবে।