জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনে হামলায় জড়িত ১৮৯ জনকে সাজা

Comments · 0 Views

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৮৯ জনকে সাজা দেও??

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৮৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১০ বর্তমান শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী ৭৯ জন। তাঁদের আজীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক সনদ বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছর ১৪ জুলাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সামনে, ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় তৎকালীন বঙ্গবন্ধু হলের সামনে এবং ওই রাতেই উপাচার্যের বাসভবনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ২২৯ প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী জড়িত থাকার কথা বলা হয়।

গতকাল সোমবার বিকেলে সিন্ডিকেটের সভা শুরু হয়, শেষ হয় গভীর রাতে। পরে গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। ৩৭ জনকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার, ৮ শিক্ষার্থীকে ১ বছর ও ৬ মাসের জন্য ১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে যাঁদের পড়াশোনা আগেই শেষ; কিন্তু হামলায় জড়িত ছিলেন, এমন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩ জনের সনদ বাতিল করা হয়েছে। আর ৬ শিক্ষার্থীর সনদ দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় ২০ বর্তমান শিক্ষার্থী ও ২০ প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়ছে।

উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান আরও বলেন, এসব ঘটনায় জড়িত বহিরাগত সন্ত্রাসী, পরিকল্পনাকারী ও ক্যাম্পাসে আগত পুলিশ সদস্যদের কার্যকলাপ শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের আওতায় পড়ে না। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদনটি আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অব্যাহতি পাওয়া ৪০ শিক্ষার্থীর বিষয়ে অধিকতর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ আবদুর রব বলেন, হামলার সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার ভিডিও, ছবি বা কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ না মেলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ কোনো সাক্ষ্য পাওয়া যায়নি। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করেও তাঁদের জড়িত থাকার কোনো সূত্র দেখা যায়নি।

Comments