পত্রিকা: 'হ্রাস পেলেও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে এখনো শুল্ক দিতে হবে ৩৬.৫%'

Mga komento · 21 Mga view

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, 'হ্রাস পেলেও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে এখনো শুল্ক দিতে হবে ৩৬.৫%'।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে এখন গড়ে ৩৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে, যার মধ্যে ১৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ পুরনো এবং ২০ শতাংশ নতুন পাল্টা শুল্ক।

 

যদিও এই হার চীন ও ভারতের তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক, তবুও রফতানিকারকরা দীর্ঘমেয়াদে এতে চাপ অনুভব করছেন।

 

কারণ শুল্কভার আমদানিকারকের ওপর থাকলেও তা শেষমেশ রফতানিকারকের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে।

 

অনেক ক্রেতা এখন শুল্ক ভাগ করে নিতে বলছেন, যার ফলে অটোমেশনের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে উৎপাদনকারীদের, এতে কম দক্ষ শ্রমিক, বিশেষ করে নারী ও বয়স্কদের কর্মসংস্থান হুমকিতে পড়ছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, অটোমেশনের কারণে গড়ে ৩০ শতাংশের বেশি শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। বিজিএমইএ জানিয়েছে, যদি পোশাকে অন্তত ২০ শতাংশ মার্কিন তুলা ব্যবহার করা হয়, তাহলে বাড়তি শুল্ক মাফ পাবে।

 

তাই দ্রুত কাঁচামালের উৎস পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছেন তারা। কিন্তু ক্রেতাদের অযৌক্তিক শর্ত মানতে গিয়ে রফতানিকারকরা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়ছেন, যা পুরো খাতের জন্য ক্ষতিকর।

 

বর্তমানে পোশাক শিল্পে কর্মসংস্থান ২৮ থেকে ৩২ লাখের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যেখানে একসময় ছিল ৫০ লাখের বেশি। নতুন শুল্কব্যবস্থা মোকাবেলায় কঠোর অবস্থানে না থাকলে, শিল্প ও শ্রমিক দুই-ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

 

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উৎপাদন কৌশলে ধাপে ধাপে পরিবর্তন এলেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানে।

Mga komento