জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো আন্দোলন ঘিরে এত প্রাণহানি ও রক্তপাতের ঘটনা দেখা যায়নি।
কিন্তু এই গণঅভ্যুত্থান ঘিরে ঠিক কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেটি নিয়েও নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
কেননা, সরকারের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যে গেজেট তৈরি করেছে, তাতে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে ৮৪৪ জন। গেজেটে যাদেরকে 'শহীদ' হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে, এই আন্দোলন ঘিরে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে তাতে নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে প্রায় ১৪০০ জন।
Skip সর্বাধিক পঠিত and continue reading
সর্বাধিক পঠিত
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
সংবিধানে যুক্ত হবে জুলাই ঘোষণাপত্র, আন্দোলনকারীরা পাবে আইনি সুরক্ষা
জুলাই গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টি'র (এনসিপি) বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার হঠাৎ কক্সবাজারে যাওয়াকে কেন্দ্র করে নানান আলোচনা ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
হাসনাত-সারজিসদের হঠাৎ কক্সবাজারে যাওয়াকে ঘিরে সন্দেহ-কৌতূহল
ঢাকার সংসদ ভবন এলাকায় গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন অনেকেই
জুলাই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠান ঘিরে সংসদ ভবন এলাকায় সারাদিন যা যা হলো
শেখ হাসিনা ভারতে এসে নামার ঠিক আগের দিন সন্ধ্যায় দিল্লির বৃষ্টিস্নাত রাইসিনা হিলস (৪ঠা অগাস্ট ২০২৪)
সকালেও দিল্লি আঁচ করতে পারেনি দিন শেষে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন শেখ হাসিনা
End of সর্বাধিক পঠিত
সরকারের তালিকা ও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যায় এতটা পার্থক্য কেন সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।
সরকারের হিসাব বলছে, আন্দোলনে নিহত যে ৮৪৪ জনের নামে গেজেট করেছে সেখানেও কারো কারো নাম একাধিকবার এসেছে। সে কারণে তালিকায় কাঁটাছেড়াও করতে হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশরাত চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "গেজেট আকারে তালিকা প্রকাশের পর আমাদের কাছে অভিযোগও এসেছে। যেগুলো আমরা তদন্ত করছি। এমন কিছু নাম গেজেট থেকে বাতিল হচ্ছে।"
জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও সরকারের তালিকায় এই তফাৎ নিয়েও দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।
জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, গত বছরের জুলাই-অগাস্টে শুধু আন্দোলনকারী নয়, নিহত হয়েছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও।
কিন্তু সরকারি গেজেটে শুধু যুক্ত করা হয়েছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে নিহতদের নাম।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটিই শুধু একমাত্র কারণ নয়।
একদিকে ভুয়া ব্যক্তিদের নামও যেমন সরকারি গেজেটে এসেছে, অন্যদিকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা অনেককে গেজেট তালিকাভুক্ত করা হয়নি।