বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশীয়ভাবে কার্ডভিত্তিক লেনদেনের নিয়ন্ত্রণ, ব্যয় সাশ্রয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার হ্রাসের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-পে নামে একটি জাতীয় কার্ড স্কিম চালু করেছে। ইতোমধ্যে ১৫টি তফসিলি ব্যাংক এই সেবার আওতায় গ্রাহকদের টাকা-পে ডেবিট কার্ড দিচ্ছে।
তবে সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, www.takapaycard.com নামের একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনসাধারণের সংবেদনশীল ও গোপনীয় তথ্য সংগ্রহের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করেছে যে, টাকা-পে-এর জন্য তাদের কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ বর্তমানে প্রচলিত নেই।
প্রতারণামূলক এই সাইটে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা-পে এবং এনপিএসপি এর লোগো/ট্রেডমার্ক অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার করা হয়েছে। যা ‘ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯’-এর পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এছাড়া ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪’-এর ধারা ৪(২), ১৫(২) এবং ৩৭(৩)-এর আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অর্থ লেনদেন, বিনিয়োগ গ্রহণ কিংবা ঋণ প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। এই ধরনের কার্যক্রম আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
বাংলাদেশ ব্যাংক জনসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছে, ভুয়া ওয়েবসাইটে কোনো তথ্য না দিতে এবং কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে জড়িত না হতে।
যে কেউ ওয়েবসাইটে প্রবেশ বা তথ্য দিলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি হয়রানির শিকার হতে পারেন বলে সতর্ক করেন বাংলাদেশ ব্যাংক।
ইত্তেফাক/টিএইচ