কারো সন্তানের জীবন কনটেন্ট তৈরির ‘আইটেম’ নয়: অপূর্ব

Komentar · 25 Tampilan

প্রায় সাত মাস পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। দেশে ফিরেই একমাত্র সন্তান জায়া?

প্রায় সাত মাস পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। দেশে ফিরেই একমাত্র সন্তান জায়ান ফারুক আয়াশকে দিতে চাইলেন এক অবিস্মরণীয় চমক।

নিজের ঘরে ঢুকতেই অপূর্ব দেখেন, আয়াশ মিষ্টি ঘুমে আচ্ছন্ন। বাবার স্নেহমাখা স্পর্শে ঘুম ভাঙতেই চোখ মেলে দেখেন প্রিয় মানুষটিকে।

 

মুহূর্তেই আবেগে ভেসে যায় ছোট্ট আয়াশের মুখ। বাবা-ছেলের সেই নিখাদ ভালোবাসার দৃশ্য ধরা পড়ে অপূর্বর ক্যামেরায়, যা তিনি শেয়ার করেন সামাজিকমাধ্যমে। কিন্তু সেই আবেগঘন ভিডিও নিয়েই শুরু হয় কিছু ভিত্তিহীন মন্তব্য ও নেতিবাচক আলোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন অপূর্ব।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই অভিনেতা বলেন, কিছু মানুষের সত্য-মিথ্যার বোধ নেই, ন্যূনতম সম্মানবোধও না। কিছু মানুষের গসিপ আর মিথ্যার কারখানা সমাজকে বিষাক্ত করে। আর কিছু গড়পড়তা মানুষরা, যাচাই না করেই শেয়ার করেন, রিঅ্যাক্ট দেন, ভুল বিচার করেন। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসা নিয়েও চলে নোংরা বিচার ও আজেবাজে কথাবার্তা।

অপূর্ব বলেন, এটা শুধু লজ্জাজনকই নয়, চরম অমানবিকও। আর যারা এই কাজগুলো করেন তাদেরকে আমি কোনো জ্ঞান দিতে যাব না। কারণ যাদের পরিবার তাদের ভেতর কোন মূল্যবোধ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে, যাদের সমাজ মানবিকতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদেরকে কোনো জ্ঞান দিয়ে লাভ হবে না।

এরপর এই অভিনেতা আরও বলেন, যাদের মস্তিষ্ক, হৃদয়ে নেগেটিভিটির ক‍্যান্সার তাদেরকে, মা-বাবা তাদের সন্তানকে কতোটা ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ এই অভাগারা জানে না প্রতিটা বাবা-মায়ের কাছেই তাদের সন্তান জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ। তার প্রতিটি হাসি, প্রতিটি কান্না, প্রতিটি অর্জন- সবকিছু তারা নিজের হৃদয়ে অনুভব করে। সন্তানের হাসি-কান্না তার প্রতিটা অনুভূতি পিতা-মাতার প্রতিটি দিনকে করে তোলে উজ্জ্বল ও অর্থবহ। তারা জানে না আপনি আপনার সন্তানকে যতটা ভালোবাসেন অন্য একজন পিতা-মাতাও তার সন্তানকে ঠিক ততটাই ভালোবাসেন। নিজেকে উত্তম আর অন্যকে অধম ভাবার মতন অসুস্থতা থেকে আপনারা দ্রুত সেরে উঠুন সেই প্রত্যাশা করি।

সঙ্গে অপূর্ব যোগ করেন, আমার বা অন্য কারো সন্তান নিয়ে মনগড়া কোনো ভুল মন্তব্য করার আগে ভেবে নিন। আপনি যদি সত্য না জানেন, তবে নীরব থাকুন। কারণ কারো সন্তানের জীবন আপনার কনটেন্ট তৈরির ‘আইটেম’ নয়।

ইতোমধ্যেই মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন বলেও জানান ‘বড় ছেলে’ খ্যাত এই অভিনেতা। তার কথায়, কিছু ভুঁইফোড়, নীচু মানসিকতার মানুষ ব্যস্ত অন্যের চরিত্র হননে! যারা এতোটাই নীচ যে পিতা-পুত্রের গভীর ভালোবাসার মধ্যেও অন্য কিছু খোঁজার চেষ্টা করেছেন। মিথ্যা তথ্য আর গাঁজাখুরি বানানো গল্পের আশ্রয় নিয়ে ভিউ পাওয়ার আশায় সাধারণের কাছে এমন কিছু পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যা দেখে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হোন আমার সন্তান ও আমার পরিবারের নামে! যারা চেষ্টা করেছেন সাংবাদিকতা নামক মহান পেশাকেও কলংকিত করতে এইসব হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ইউটিউব চ্যানেল বা পেইজগুলো দিয়ে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ইতোমধ্যেই তিন জনকে শনাক্ত করে আনাও হয়েছে। বাকিদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে খুব শিগগিরই।

দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অপূর্ব। তিনি বলেন, এত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে ধন্যবাদ। সবাই মিলে একটা সুস্থ সমাজ গড়ে তুলি, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেই।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে বিয়ে করেন অপূর্ব। সে সংসার ভেঙে গেলে ২০১১ সালে নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে আয়াশ নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে। তবে এই সংসার ২০২০ সালে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে অপূর্ব ও অদিতি দুজনেই বিয়ে করে আলাদা সংসার সাজিয়েছেন।  

Komentar