রাজনৈতিক নেতাদের ক্যান্টনমেন্টে যাওয়া পছন্দ হয়নি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের

Комментарии · 9 Просмотры

বঙ্গভবনে যখন রাষ্ট্রপতি, তিন বাহিনী প্রধান, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ওই বৈঠক চলছিল, সেই সময় ওই বৈষম্যবিরোধী ছাত?

রাজনৈতিক নেতাদের ক্যান্টনমেন্টে যাওয়া তাদের পছন্দ হয়নি।

 

আসিফ মাহমুদ তার 'জুলাই: মাতৃভূতি অথবা মৃত্যু' বইতে লিখেছেন, ''চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরে গিয়ে শুনলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে ক্যান্টনমেন্টে যাচ্ছেন। শুনে আমার মনটা খুবই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। সঙ্গে সঙ্গে হাসনাত আবদুুল্লাহকে ফোন করে বললাম, ক্যান্টনমেন্টে গেলে আপনাদেরও জাতীয় বেঈমান ঘোষণা করা হবে। হাসনাত ও সারজিক তখন সেনাবাহিনীর গাড়ি থেকে নেমে চলে আসেন।''

 

সেখানে বসেই তারা অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সেখানেই তারা ঘোষণা করেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়ে তারা প্রস্তাব দেবেন। তাদের প্রস্তাবিত বা সমথর্ন ছাড়া সরকার গঠন করা হলে সেটি তারা মানবেন না।

 

আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, সেই চ্যানেল টোয়েন্টিফোর কার্যালয়ের একটি ছোট সভাকক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, মাহফুজ আলম ও নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ছিলেন।

 

''তারেক রহমানকে আমরা অন্তর্বতীকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিই এবং বিএনপিকে সেই সরকারে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। আমাদের প্রস্তাব ছিল জাতীয় সরকারে ৫০ শতাংশ রাজনৈতিক দলের এবং ৫০ শতাংশ সুশীল সমাজ ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি থাকবেন। তারেক রহমান বললেন, তারা এ ধরনের কিছুর অংশ হতে চান না। আমরা আমাদের সংস্কারের ভাবনাগুলো বললাম। তিনি সরাসরি বলছেন, এত বেশি দায়িত্ব নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে তো মনে হয় না। আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে একটা নির্বাচন দিয়ে দিতে পারেন।''

 

আসিফ মাহমুদ আরো লিখেছেন, তারেক রহমান সেখানে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, একজন প্রধান উপদেষ্টা রেখে সাতজনের একটি সরকার গঠন করা, যারা তিনমাসের মধ্যে একটা জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে। তবে ছাত্ররা জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে।

 

কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সেই বৈঠকটি শেষ হয়।

Комментарии