'এআই' নিয়ে বাংলাদেশের যেসব পদক্ষেপ

Comments · 1 Views

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। টেলি যোগাযোগ খাত, মোবাইল ব্যাংকিং, কৃষিসহ ??

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে কারো বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো বা হেয় করা, রাজনৈতিকভাবে কোনও ব্যক্তিকে অপদস্থ করা, মানবিক ঘটনার ফায়দা লোটার জন্য এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার করা হচ্ছে।

 

এর আগে, ২০২০ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ 'জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল' প্রণয়ন করে। যেটিতে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং প্রশাসনসহ বিভিন্ন খাতে এআই ব্যবহারের রূপরেখা তৈরি করা হয়। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি সেটি।

 

একই সাথে গত বছর ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার এআই এর একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছিল। যদিও খসড়া 'ন্যাশনাল এআই পলিসি' এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

 

এই নীতির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে এআই উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি গ্রহণে অগ্রগামী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে সহায়তা করতে তা করা হচ্ছে।

 

এই খসড়া নীতিমালায় যেসব খাতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো সরকারি সেবা ও বিচারিক ব্যবস্থা, টেলিযোগাযোগ, ডেটা গভর্ন্যান্স, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, কৃষি, গবেষণা ও উদ্ভাবন ইত্যাদি খাত।

 

একটি স্বাধীন ন্যাশনাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এর অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে ওই খসড়া নীতিমালায়।

 

ইউনেস্কোর ১৯৩ টি সদস্য রাষ্ট্র ২০২১ সালের নভেম্বরে সর্বসম্মতিক্রমে 'এথিকস অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স(ইউনেস্কো, ২০২২)' অনুমোদন করে।

 

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ঝুঁকি হ্রাস করাই ইউনেস্কোর এই বৈশ্বিক কাঠামোর লক্ষ্য।

 

অর্থাৎ বিভিন্ন দেশ যাতে তাদের পলিসি ও প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেজন্যই ইউনেস্কো 'রেডিনেস অ্যাসেসম্যান্ট মেথোডলজি' তৈরি করেছে। নৈতিক এআই অনুশীলনের ক্ষেত্রে একটি দেশের প্রস্তুতি নির্ধারণ করা হয় এই র‍্যামের মাধ্যমে।

 

গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ইউনেস্কোর এই র‍্যামে যুক্ত হয়।

Comments