ভারত নির্ভরশীলতা থেকে বৈরিতা, চীন ও পাকিস্তানের সাথে নৈকট্য, অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক অর্জন কতটা?

نظرات · 22 بازدیدها

গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলের পতনের পর গত বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে দেশট

আগের ভারতকেন্দ্রিক বৈদেশিক নীতির ধারা থেকে সরে এসে গত এক বছরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে চীনের ঘনিষ্ঠতা দৃশ্যমান হচ্ছে। সাথে পাকিস্তানের সাথেও এক ধরণের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এদিকে, গত এক বছরে বাংলাদেশের সাথে ভারতের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে অবনতি যেমন দেখা গেছে, তেমনি সীমান্তেও সৃষ্টি হয়েছে সংঘাতময় পরিস্থিতি। ভারত থেকে দফায় দফায় পুশব্যাকের ঘটনা ঘটে চলেছে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই।

কূটনীতিক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি নির্দিষ্ট দেশ কেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে আসা ছিল গত এক বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক পরিবর্তন।আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষক অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, "বাংলাদেশের নতুন সরকার আগের চেয়ে অনেক প্রাকটিক্যাল হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট দেশ কেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে আসার কারণে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বটাও বেড়েছে।"গত বছরের জুলাই অগাস্টের ছাত্র আন্দোলনের সময় বাংলাদেশে হওয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্ত ও প্রতিবেদনের বিষয়টিকে অধ্যাপক ইউনূসের বড় একটি কূটনীতিক সফলতা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে, নতুন মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায়আসার পর সব দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পর বাংলাদেশ তা কীভাবে সামলায় সে নিয়েও নানা আলোচনা দেখা গেছে।

তবে, মিয়ানমারে মানবিক করিডোর ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের নানা সমালােচনাও হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের কূটনীতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটা সফল সে প্রশ্নও সামনে আসছে।

نظرات