নিহতরা হলেন- তারাগঞ্জের কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর এলাকার বাসিন্দা রুপলাল দাস এবং তার একজন নিকটাত্মীয় মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামের প্রদীপ দাস ।
এর মধ্যে রূপলাল দাস পেশায় মুচি এবং প্রদীপ দাস পেশায় ভ্যানচালক। তারা পরস্পরের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ ফারুক জানিয়েছেন, গণপিটুনিতে ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। "যাদের আটক করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে আশা করছি," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।স্থানীয়রা বলছেন, নিহত রূপলাল দাস তারাগঞ্জ বাজারেই মুচির কাজ করতেন এবং এলাকায় তিনি ছিলেন খুবই পরিচিত মানুষ।তাদের মতে, সে কারণেই তাকে হত্যার প্রতিবাদে রবিবারই তার মৃতদেহ নিয়ে তারাগঞ্জের প্রধান সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।
রূপলাল দাসের কন্যা নূপুর রবি দাস বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের পর ভ্যান চুরি ও মাদকসহ নানা বিষয় বলা হলেও তারা মনে করছেন 'এটি পরিকল্পিত ছিলো এবং অন্য কোনো কারণে' ঘটনাটি হয়ে থাকতে পারে।
কিন্তু 'অন্য কারণ' সম্পর্কে বিস্তারিত আর কোনো কিছু তিনি না জানালেও ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন, এমন কয়েকজন জানিয়েছেন, ভিন্ন একটি এলাকায় এ ধরনের 'তাৎক্ষণিক ঘটনা' সেখানকার মানুষজনকে বিস্মিত করেছে।