এছাড়া জোটের অংশ হয়ে এক দলের প্রার্থীরা আরেক দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিধানও বাদ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিওতে সংশোধনের উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন।সোমবার সকালে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নবম কমিশন সভার মুলতবি বৈঠক হয়। পরে সন্ধ্যায় ইসির এই সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।তিনি জানান, নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে অপতথ্য বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
অন্যদিকে, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জোটগত ভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও এখন থেকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। জোটের প্রতীকে ভোট করতে পারবে না ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীতে নির্বাচনে অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। আর হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে বিজয়ী প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারবে ইসি।
সোমবারের বৈঠকে আরপিওর যে সব বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে সেগুলো ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পাঠানো হবে। পরে সরকারের সায় পেলে চূড়ান্ত করা হবে সংশোধিত আরপিও।
নির্বাচন কমিশন বলছে, নতুন করে ঐকমত্য কমিশনের কোনো সুপারিশ যদি থাকে সেগুলোও যুক্ত করা হবে সংশোধিত আরপিওতে।