সংরক্ষণ বনাম অধিকার

הערות · 2 צפיות

সরাসরি ভোটের জন্য ৩০০ সংসদীয় আসনের বিপরীতে ১৯৭৩ সালে ১৫ আসন ছিল সংরক্ষিত নারী আসন। পরে তা বাড়িয়ে দ্বিতীয়, তৃতী

আইনের মেয়াদ না থাকায় চতুর্থ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ছিল না। মেয়াদ না থাকায় অষ্টম সংসদের শুরুতেও নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ছিল না। তবে ২০০৪ সালে সংবিধানের চতুর্থদশ সংশোধনী এনে আসন বাড়িয়ে ৪৫ করা হয়।

নবম সংসদেও শুরুতে ৪৫টি আসন সংরক্ষিত ছিল। ওই সংসদেই ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীতে আরও ৫ আসন বাড়িয়ে সংরক্ষিত আসন করা হয় ৫০টি।

এসব আসনের মেয়াদ আরও ২৫ বছর বহাল রেখে সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী আনা হয় ২০১৮ সালে। সে অনুযায়ী, ২০৪৩ সাল পর্যন্ত সংসদে ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকার কথা।

সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসা ৩০০ সংসদ সদস্যের সংসদীয় এলাকা নির্ধারিত থাকলেও সংরক্ষিত আসনের এমপিদের এলাকাভিত্তিক কার্যপরিধি বা দায়িত্বের বিষয়ে সংবিধানে আলাদাভাবে কিছু নেই। ফলে ভোটারদের সঙ্গে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের সরাসরি কোনো সংযোগ ঘটে না।

সে কারণেই সংরক্ষিত আসন বাড়ানোর পাশাপাশি সেসব আসনে সরাসরি ভোটের দাবি জানিয়ে আসছে নারী অধিকারকর্মীরা। কিন্তু সেই দাবি আদায়ে রাজনৈতিক দলগুলোকেই তারা বাধা হিসেবে সামনে পাচ্ছেন।

הערות