নেইমার–দি মারিয়ারা যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও যাবেন সেই হাসপাতালে

注释 · 8 意见

ক্রিকেটারদের চিকিৎসার বিষয়ে এবার নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বিসিবি। বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রিকেটারদের কয়েকটি ক্য?

ক্রিকেটারদের চিকিৎসার বিষয়ে এবার নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বিসিবি। বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রিকেটারদের কয়েকটি ক্যাটাগরিতে আলাদা করার প্রস্তাব বোর্ডকে দিয়েছে মেডিকেল বিভাগ। চিকিৎসার জন্য কোথায় পাঠানো হবে, এই দোটানা কাটাতে আলাদা ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের চিকিৎসার জন্য দেশ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে।

তবে চোটের ধরন ও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কি না, এ বিবেচনায় তাঁদের অন্য দেশেও পাঠানো হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে নির্দিষ্ট করে দেওয়া দেশগুলোতেই যাবেন ক্রিকেটাররা। তাঁদের ক্যাটাগরি করার এ দায়িত্ব ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের হাতে দেওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন

জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে কাতারের এসপেটার হাসপাতাল প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগের একটি সূত্র। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশে ক্রিকেটারদের চিকিৎসার জন্য পাঠাতে গিয়ে ভিসা জটিলতায় পড়তে হয়েছে বিসিবিকে।

কাতারের ভিসা পাওয়া সহজ। তা ছাড়া এসপেটার হাসপাতালের ক্রীড়াবিদদের সুচিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও খ্যাতি আছে। ফিফা মেডিকেল অ্যাসেসমেন্ট ও রিসার্চ সেন্টার (এফ–মার্ক) ২০০৯ সালে এই হাসপাতালকে ‘ফিফা মেডিকেল সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ খেতাব দেয়। ২০১৪ সালে ‘অ্যাথলেটদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চোট প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) গবেষণা সেন্টার’ হিসেবেও প্রত্যয়ন পায় এসপেটার হাসপাতাল।

২০২৩ সালে নেইমার এই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করান
২০২৩ সালে নেইমার এই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করানএসপেটার হাসপাতাল ওয়েবসাইট

বিশ্বের বড় বড় ক্রীড়াবিদ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ২০২৩ সালে এসপেটার হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করান ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার নেইমার। আনহেল দি মারিয়া, মো ফারাহ, ইয়া ইয়া তোরের মতো ক্রীড়াবিদেরা চিকিৎসা নিয়েছেন এই হাসপাতালে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্যও হাসপাতালটি নতুন নয়। ২০২৩ সালে পিঠের চোট নিয়ে সেখানে চিকিৎসা নেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অভিষেক দাস ও আশিকুর জামানও চিকিৎসা নিয়েছেন এই হাসপাতালে। ২০১৯ সালে বিবিসিতে এসপেটার হাসপাতাল নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘নাসার মিশন নিয়ন্ত্রণ সেন্টার যদি হয় টেক্সাসের হিউস্টন, স্পোর্টস মেডিসিন বিশ্বের জন্য সেটা এসপেটার।’

আরও পড়ুন

ইতিমধ্যেই বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম এই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এসপেটার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক এনে স্থানীয় ফিজিওদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার আলোচনাও চলছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে বিসিবির মেডিকেল বিভাগের প্রধান মনজুর আলম প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এমন একটি উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। সভাপতি ইতোমধ্যে যোগাযোগও করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি ওখানকার চিকিৎসকদের এনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার।’

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামপ্রথম আলো

এ ছাড়া বিসিবির একাডেমি ভবনে একটি ‘মিনি মেডিকেল ইউনিট’ করার প্রস্তাবও বোর্ডের কাছে রেখেছে মেডিকেল বিভাগ। এখন বিসিবি ভবনের ভেতর তাঁদের কার্যক্রম চলে, কিন্তু ম্যাচ চলাকালে দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের বিধিনিষেধের কারণে ক্রিকেটাররা সেখানে যেতে পারেন না। এ জন্য মেডিকেল বিভাগের পুরো কার্যক্রমই একাডেমি ভবনে সরিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জিম ও একাডেমি মাঠ কাছে হওয়ায় ক্রিকেটারদের পুর্নবাসনের জন্যও এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে মনে করছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ।

এসব নিয়ে জানতে চাইলে মনজুর আলম বলেছেন, ‘আমি এ ধরনের একটা প্রস্তাবনা দিয়েছি। বিদেশি চিকিৎসক এনে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আল্টাসনোগ্রাম মেশিনসহ সবকিছুর যথাযথ ব্যবহার করে আমরা মিরপুরেই ক্রিকেটারদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চাই।’

注释