বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা তিন ভাগে বিভক্ত, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কি চাপে এনসিপি?

코멘트 · 18 견해

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে

এমন পরিস্থিতিতে দলের অমতে প্রার্থী হওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার দল থেকে বহিষ্কারও হয়েছেন।

 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব যারা দিয়েছে তারা ছাত্র সংসদ নির্বাচনে চমক দেখাতে পারলে এনসিপির রাজনীতিতে ইতিবাচক সাড়া ফেলবে, এমন ধারণা এনসিপি নেতাদের মধ্যে শুরু থেকে ছিল।

 

যে কারণে ক্যাম্পাসগুলো ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে যে সব আন্দোলন হয়েছে, সেখানে নেতৃত্বেও ছিল বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।কিন্তু ডাকসুর নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরুর পর দেখা গেছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও এনসিপির কেউ কেউ আলাদা তিনটি প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।এতে অন্তত এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে একদিকে যেমন নিজ দলের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে এনসিপি, অন্যদিকে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে বিভেদ আরো স্পষ্ট হচ্ছে।

 

তবে কোন্দল বা বিরোধ হিসেবে না দেখে একে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হিসেবেই দেখছে এনসিপি।

 

এনসিপির সদস্য সচিব ও সাবেক ডাকসু নেতা আখতার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "ক্যাম্পাসগুলোয় আবহ তৈরি হয়েছে। ভয়ের পরিবেশ নাই। যে কারণে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি"।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে কোনো দলের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে হলে অনেকগুলো শর্তের প্রয়োজন হয়। যেটি এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের মধ্যে না থাকায় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিরোধ ও বিভেদ বাড়ছে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

코멘트