একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনই করেনি লক্ষাধিক শিক্ষার্থী

Комментарии · 17 Просмотры

চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ বছর পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। একাদশ শ্রেণিত??

চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ বছর পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন করেছে ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কারিগরিতে উত্তীর্ণ এক লাখের মতো পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাদ দিয়ে হিসাব করলে এক লাখের বেশি পরীক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আবেদনই করেনি।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, সময় বাড়িয়ে গত ৩০ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত (১১ আগস্ট ছিল শেষ সময়) ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, কলেজ ও মাদরাসায় ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৬ ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল আজ প্রকাশ করা হবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. রিয়াজুল হক জানান, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তির হিসাবটা এখানে নেই। তাই কিছু শিক্ষার্থী সেখানেও ভর্তির আবেদন করে থাকতে পারে। তবে প্রতিবছরই আবেদন না করা একটা অংশ থাকে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ করা হবে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট। এই ধাপের ফলাফল প্রকাশ করা হবে ২৮ আগস্ট। এরপর আবার ৩১ আগস্ট ও আগামী ১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে।

এভাবে বাছাই প্রক্রিয়ায় শেষ করে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তির কাজ শেষ করা হবে। তারপর ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

গত ১০ জুলাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এবার গড় পাসের হার এবং ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫—দুটিই কমেছে। সব পরীক্ষার্থী ফেল করেছে, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। কমেছে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। এবার ১১টি শিক্ষাবোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। মানে ছয় লাখের বেশি পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি।

জানা যায়, সারাদেশে কেবল কলেজ ও মাদরাসাগুলোতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৬ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি। এবছর একাদশ শ্রেণিতে বিপুল সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকবে।

Комментарии